দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ত্বকের নিজস্ব জৌলুসেই, সেটি কিন্তু প্রসাধন সামগ্রীতে নয়। তাই ত্বকের যত্নেও থাকা চাই বাড়তি কিছু সচেতনতা।
তাই আগে জানতে হবে, কোন ধরনের ত্বকের জন্য কেমন পরিচর্যা প্রযোজ্য হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ীই যত্নেরও অভিমুখ ঠিক করতে হবে আপনাকে।
দেহের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ত্বকের নিজস্ব জৌলুসেই, প্রসাধন সামগ্রীতে কিন্তু নয়। তাই ত্বকের যত্নেও নিতে হবে বাড়তি সচেতনতা।
তবে সকলের ত্বক একই রকম নয়। কারও খুব তেলতেলে, কারও আবার একেবারে শুষ্ক। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন, ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেমন প্রসাধন সামগ্রী বেছে নেওয়াটা জরুরি, ঠিক তেমনই ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্নেরও অভিমুখ আপনাকেই ঠিক করতে হবে। কোন পথে যত্ন নিলে সুফল পাওয়া যাবে বেশি, তা বোঝা দরকার। তবে প্রাথমিকভাবে দু’রকম ত্বকের ক্ষেত্রেই একই ধরনের যত্ন হয়ে থাকে।
# আপনার ত্বক তৈলাক্ত হোক কিংবা শুষ্কই হোক সকালের ত্বকের পরিচর্যায় থাকবে ক্লিনজার, টোনার, ময়েশ্চারাইজার ও সিরাম। কোথাও বেরোনোর ১৫ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। বাইরে বেশ অনেকক্ষণ থাকলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
# ত্বকের মৃত কোষ দূর করাটাও জরুরি। সেজন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্রাবিং। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি বিভিন্ন ফেস মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।
# খাওয়া-দাওয়াতেও বদল আনাটা জরুরি। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার প্রত্যাহ পাতে রাখুন। সারাদিনে ৩-৪ লিটার পানি খেতে হবে। কারণ হলো পানি শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোও দরকার।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে যা করবেন
হায়লুরোনিক অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের দেখাশোনা করে থাকে। ত্বকের প্রতিটি কোষকেই সজীব রাখতে এই উপাদান খুবই উপকারী। শুষ্ক ত্বকের আরও একটি উপকারী উপাদান হলো ভিটামিন ই। ভিতর হতে ত্বক সুস্থ রাখতে প্রত্যাহ রূপরুটিনে রাখতে পারেন এই হায়লুরোনিক অ্যাসিড। ‘আমন্ড’, ‘সানফ্লাওয়ার’, ও ‘ফলিক’ অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের বন্ধু।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
স্যালিসিলিক অ্যাসিড তৈলাক্ত ত্বকে সেবা বা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের ত্বক খুব তেলতেলে ভাব, প্রসাধন সামগ্রী কেনার পূর্বে দেখে নিন, তার উপকরণে স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে কি না। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি থাকে। তাই এই অ্যাসিড ব্রণ দূর করতে পারে খুব সহজেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English