দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের মেদ কমাতে অনেকেই ডায়েট করেন। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার বেশি খেলেও কমতে পারে পেটের মেদ! সেগুলো কোন খাবার?
শরীরচর্চা, ডায়েট, বাইরের খাবার খাওয়া কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও পেটের মেদ কমানো কিন্তু দুরূহ হয়ে পড়ে বেশির ভাগ সময়। এটা ঠিক যে পেটের মেদ এক বার বাড়তে শুরু করলে সহজে তা কমানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।। সে কারণে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। তবে অনেক সময় সতর্ক থাকার পরও কিছুই করার থাকে না। পেট ক্রমশই যেনো স্ফীত হতে থাকে। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কেও কেও আবার পেটের মেদ ঝরাতে যোগাসন শুরু করেন। তবে তাতে বিশাল কোনও পরিবর্তনই হয় না। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, পেটের মেদ কমাতে কেবল ডায়েট নয়, বরং কয়েকটি খাবার বেশি করে খাওয়াটা জরুরি। কোন খাবারের গুণে পেটের মেদ ঝরাতে পারেন সেটি আজ জেনে নিন।
বিন্স
ওজন কমাতে বিন্সের জুড়ি নেই। প্রতিদিন যদি বিন্স খান, তাহলে পেটে কোনোভাবেই মেদ জমতে পারবে না। কারণ হলো এই সব্জিতে দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ফাইবার এমনিতেই শরীরের কোনও অংশে বাড়তি মেদ জমতেই দেয় না। তাছাড়াও হজমের গোলমাল কমাতেও এর জুড়ি নেই। পেটের মেদ না কমলে বিন্স খান ইচ্ছে মতো।
দই
দইয়ের ভূমিকা অপরিসীম- মেদ ঝরাতে এর জুড়ি নেই। তাই মেদভুড়ি কমাতে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। নিয়ম করে দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। শেষপাতে দই রাখলে অনেক রোগবালাই থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ব্রকলি
ওজন কমাতে যে সব্জিগুলো রয়েছে, তারমধ্যে ব্রকলি অন্যতম। ব্রকলিতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিন সি শুধু প্রতিরোধ ক্ষমতাই বৃদ্ধি করে না, সেইসঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই ব্রকলি খান নিয়ম করে।
রেড বেলপেপার
অনেকেই ব্যবহার করেন রেড বেলপেপার। এটি পাস্তা, চাউমিন, চিলিচিকেন সুস্বাদু করে তুলতে সাহায্য করে। রেড বেলপেপার ওজন ঝরাতেও সত্যিই বেশ কার্যকরী। পেটের মেদ কমাতে হিমসিম খেলে ভরসা রাখতে পারেন বেলপেপারে। এতে ওজন ঝরবে খুব দ্রুত। পেটের মেদ নিয়েও তখন পড়তে হবে না অস্বস্তিতে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org