দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকটা সিনেমার মতো ঘটনা। এবার বাস্তবেও ঘটে গেলো। জ্বলন্ত প্রমাণ দিলেন সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি বিয়ের ভিডিও তিনি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
ইতিমধ্যে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতেই ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে আসলে এমনই দেখায়।’ সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা যায়, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের রীতিমতো মাথা ঘুরে গেছে!
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নববিবাহিত দম্পতি তাদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেন। অতিথিদের তারা একটি পাঁচতারা হোটেলে ৫ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস ও বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহরও সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতোটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকেই এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।
চীনা বিয়ের একটি রীতিই হলো, অতিথিরা পকেট ভারি করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান এও বর-কনেকে উপহার হিসেবে টাকা-পয়সা দান করেন। তবে ডানার দেখানো বিয়েতে ঘটলো উল্টো! অতিথিদের কাছ থেকে ওই নবদম্পতি কোনো কিছুই গ্রহণও করেননি, বরং উল্টো তারা সবাইকে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী দিয়েছেন। এমনকি সবার হাতে একটি করে খামও ধরিয়ে দেন।
ডানা জানিয়েছেন, অতিথিদের উপহার দেওয়া প্রত্যেকটি খামের ভেতরেই ৮০০ ডলার করে ছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এখন ৯৪ হাজার টাকারও বেশি। শুধুমাত্র এসবই নয়। অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেন ওই দম্পতি।
ডানার শেয়ার করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকেই এই বিয়েকে বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রম বিয়ে হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার!’
আবার আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কতো কিছু দিয়েছো!’ রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন যে, ‘ভিডিও দেখে গরিবরা কাঁদছে।’ তবে অনেকেই ওই দম্পতির প্রশংসা করেছেন। অতিথিদের উপহার দেওয়াকে একটি বিনয়ী ব্যবহার হিসেবেও অভিহিত করেছেন অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org