দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিৎজা চেইন এবং দেশের শীর্ষ পিৎজা ব্র্যান্ড ডোমিনোজ পিৎজা’র পরিসর এখন আরো বিস্তৃত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় জসীমউদ্দিনে অবস্থিত জি কিউ শেফালি টাওয়ারে আজ এক অনন্য আয়োজনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটির ৩৪তম শাখা উদ্বোধন করা হয়।
পিৎজা-প্রেমীদের মাঝে এই নতুন সূচনার আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত নতুন ক্রেতাদের প্রথম অনলাইন অর্ডারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছে ডোমিনোজ পিৎজা’র জসীমউদ্দিন শাখা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাওয়াইন ওং, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজার – এশিয়া, মিডল ইস্ট অ্যান্ড আফ্রিকা; নোয়েল সুং, প্রজেক্ট লিড, ইন্টারন্যাশনাল অ্যানালিটিকস অ্যান্ড ইনসাইটস; এবং আলেসান্দ্রো কারা, ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন্স সিওই ম্যানেজারসহ ডোমিনোজ পিৎজার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং অন্যান্য সম্মানিত কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে ও একটি ৩ ফুট x ২ ফুট সাইজের বিশালাকৃতির পিৎজা স্লাইস করে উদ্বোধনী আয়োজনটি স্মরণীয় করে রাখেন। এছাড়াও, সকলের জন্য মুখরোচক খাবার ও শিশুদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।
ডোমিনোজ পিৎজা – এশিয়া, মিডল ইস্ট এন্ড আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস উইকিং নং, এক বার্তায় জানিয়েছেন, “বিশ্বের বৃহত্তম পিৎজা ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশের ভক্তদের কাছে সুস্বাদু পিৎজা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এশিয়া অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে ডোমিনোজ পিৎজা খুব দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করছে। ক্রেতা ও ভক্তদের ভালোবাসাই আমাদের এই সাফল্যের সূত্র। তাদের সমর্থন আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন শাখা চালু করার এবং বিশ্বমানের সেবা ছড়িয়ে দিতে অনুপ্রাণিত করে।”
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজার, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা, গাওয়াইন ওং, এই ব্যবসা সম্প্রসারণে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের জন্য যেকোন উৎসব থেকে শুরু করে নিত্যদিনের আড্ডায় পিৎজা, সাইড মেন্যু, রাইস এবং ডেজার্টের বিস্তৃত সমাহার আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বমানের গুণগতমান ও সেবার নিশ্চয়তা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও বেশি বাংলাদেশী জনগণের মুখে হাসি ফোঁটাতে আমরা সারা দেশে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করে যাচ্ছি”।
ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার আহমেদ শোয়েব ইকবাল বলেন, “দেশের প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় ডোমিনোজ পিৎজা’র একটি শাখা চালুর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, আর জসীমউদ্দিন রোডে নতুন শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে এই যাত্রায় আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। বাহারি স্বাদ, দ্রুত ডেলিভারি, আর সাশ্রয়ী দামে বিশ্বমানের পিৎজার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছে ডোমিনোজ পিৎজা। আমাদের প্রত্যাশা, এখন আরো বেশি ক্রেতারা ডোমিনোজ পিৎজা’র সুস্বাদু খাবারের সাথে নিজেদের প্রিয় মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখবেন।”
বর্তমানে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জ – এ পাঁচটি বড় শহরে ডোমিনোজ পিৎজা’র শাখা রয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট শহরেও যাত্রা আরম্ভ করতে যাচ্ছে ডোমিনোজ পিৎজা। ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশ বর্তমানে সরাসরিভাবে ৬০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান করছে।
মুখরোচক ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পিৎজার পাশাপাশি ওরিগ্যানো রাইস, সসি এন্ড মেসি পিৎজা, বিভিন্ন ধরণের গার্লিক ব্রেড-সহ বেশ কিছু সিগনেচার ডিশও পাওয়া যায় ডোমিনোজ পিৎজায়, যার মধ্যে রয়েছে ভক্তদের সেরা পছন্দের চকো লাভা ডিলাইট।
বিশ্বের বৃহত্তম পিৎজা কোম্পানি ডোমিনোজ পিৎজা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। ৯০টিরও বেশি দেশের বাজারে ২০ হাজার ৯শ’টি স্টোর পরিচালনাকারী ব্র্যান্ডটি বিশ্বের শীর্ষ পাবলিক রেস্টুরেন্টগুলোর তালিকায় অন্যতম। গত ১৬ জুন শেষ হওয়া গত অর্থবছরে মোট ১৮.৭ বিলিয়ন ডলারের গ্লোবাল রিটেইল সেল নিশ্চিত করে ডোমিনোজ পিৎজা ।
ঘরে বসেই চিজে ভরপুর মুখরোচক পিৎজা’র স্বাদ নিতে স্মার্টফোনে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন ‘ডোমিনোজ পিৎজা বাংলাদেশ’ অ্যাপ। এছাড়াও m.dominos.com.bd ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি অর্ডার করতে পারেন, অথবা কল করুন ১৬৬৫৬ -এই নম্বরে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org