দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ পৃথিবীর তৃতীয় সর্ববৃহৎ দীর্ঘ ২ কিলোমিটার লম্বা ক্যাবল কার স্থাপিত হল চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে। ক্যাবল কারে চড়ে উপর থেকে দেখা যাবে পাহাড়ে ঘেরা কৃত্রিম লেক এবং অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক(পাখি দের অভয়আশ্রম)।
সংক্ষেপেঃ
- অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে তৈরি করা হয়েছে।
- এটি একটি পাখি সংরক্ষণ শালা এবং পাখিদের অভয়আশ্রম।
- বিশাল বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় তৈরি কৃত এই পার্ক পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া আর মাত্র ২টি দেশে রয়েছে।
- এখানে তৈরি করা দীর্ঘ ২ কিলোমিটার লম্বা ক্যাবল কার এশিয়াতে সর্ববৃহৎ।
- প্রথম এক মাস পার্কে প্রবেশ সম্পূর্ণ ফ্রি!
বিস্তারিতঃ দেশের এক মাত্র এবং এশিয়ার বিশাল এই ক্যাবল কার তৈরি করা হয়েছে চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বন বিটের সবুজ বনানী ঘিরে। এখানে একই সাথে স্থাপিত হয়েছে দেশের এক মাত্র পাখি শালা এবং বিনোদন কেন্দ্র যার নাম শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক।
প্রাকৃতিক এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষন, গবেষণা এবং বিনোদন এই বিষয় সমূহ মাথায় রেখেই রাঙ্গুনিয়াতে গড়ে তোলা হয়েছে এই বৃহৎ পার্ক। এখানে থাকবে দেশ বিদেশের হাজারো পাখির সংগ্রহ এবং দেশি বিলুপ্ত প্রায় পাখি সমূহের সংরক্ষণ এবং রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রয়েছে বিস্তৃত পাহাড় রাশি এখানে এই সব পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক। পার্কটি আয়তনে এশিয়ার বৃহৎ পাখি সংগ্রহ শালা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে একই সাথে এখানে তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক কৃত্রিম লেক যেখানে পাখিরা বিচরণ করছে প্রাকৃতিক আবহে।
সম্পূর্ণ পার্ক এলাকা উপর থেকে দেখতে তৈরি করা হয়েছে এডভেঞ্চার সমৃদ্ধ সুদীর্ঘ ২ কিলোমিটার বিশাল ক্যাবল কার লাইন। পাহাড় থেকে টাওয়ার তৈরি করে সেখানেই তৈরি করা হয়েছে ক্যাবল কার স্টেশান যাত্রীরা এসব স্টেশান থেকে ক্যাবল কারে উঠা নামা করবেন।
আন্তর্জাতিক মানের এই পার্ক দেশী বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের জন্য প্রস্তুত। এখানে রয়েছে উন্নত মানের হোটেল রেস্তরাঁ সহ সকল সুবিধা।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ বলেন, “পর্যটন, পাখি সংরক্ষণ এই দুই বিষয় মাথায় রেখে রাঙ্গুনিয়ার ৫’শ একরের উপর বিশাল বন ভূমি এবং পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পার্ক। বিশ্বে বাংলাদেশ ছাড়া কেবল মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া’তে এমন পার্ক রয়েছে।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই আধুনিক পার্ক তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এই আধুনিক পার্কে প্রথম এক মাস প্রবেশ এবং ক্যাবল কারে ভ্রমণ সম্পূর্ণ ফ্রি। প্রকৃতি এবং পাখিদের জীব বৈচিত্র্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই ফ্রি প্রবেশের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য পার্কটিতে বর্তমানে বেশ কিছু বিরল দেশী প্রজাতির বৃক্ষ লাগানো হয়েছে ফলে এখানে অবমুক্ত করা হাজার হাজার পাখি আপনার চিত্তকে বিমোহিত করবে এটা নিশ্চিত।