দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায় নিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে। যে কোন সময় ওই দুই নেতার মামলার রায় ষোষণা হবে। রায়ের পর ব্যাপক নাশকতার আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে এই রায়কে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুর্র্ধষ ক্যাডাররা প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন খবরে এমন আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ‘ছাত্র শিবির নিজামী ও সাঈদীর রায়ের পর বড় ধরনের নাশকতার ছক এঁকেছে।’ তথ্য বাংলাদেশ নিউজ২৪।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, “যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী এবং দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে। দুটি রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির আগের চেয়েও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।”
এমন এক পরিস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশের বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার পর যাতে জামায়াতে ইসলামী বা তাদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রশিবির যাতে বাড়াবাড়ি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, শান্তিপূর্ণ কোন প্রতিবাদ করলে সেটি ভিন্ন কথা, কিন্তু এই রায়কে পুঁজি করে যদি রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কিছু করার পরিকল্পনা করা হয় তবে কঠোরভাবে তা দমন করবে পুলিশ।
এদিকে এমন এক পরিস্থিতির কারণে দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে হরতাল-ধর্মঘট তেমন একটা হয়নি। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র যেসব হরতাল বা সহিংসতা হয়েছে তা মফস্বল শহরে সীমাবদ্ধ ছিল।
এ মাসে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা এখনও চলছে। মূল বিষয়গুলো অবশ্য ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে প্যাট্রিক্যালসহ আর বেশ কিছু পরীক্ষা রয়েছে যেগুলো আগামী মাসের ৮ তারিখ ও তার পরে শেষ হবে। অভিভাবকরা মনে করছেন, বাকি পরীক্ষাগুলোতেও যেনো কোনো প্রকার বাঁধা না আসে। হরতাল-ধর্মঘট ছাড়া যেনো তাদের সন্তানরা শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারে।