দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নানা গবেষণা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। আর এসব গবেষণা করতে গিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নির্ঘুমই কেটেছে ও কাটছে । বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এক সারিতে শুক্র-মঙ্গল-চাঁদ। তাহলে কি এটি পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত?
বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে শনিবার দিবাগত রাতটি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নির্ঘুমই কেটেছে। তাদের চোখ পড়ে রয়েছে টেলিস্কোপের মধ্য দিয়ে দূর আকাশে। এই রাতে এক সারিতে এসে দাঁড়িয়েছে মঙ্গল-শুক্র ও চাঁদ। শুক্র ও মঙ্গল এসে পড়েছে অনেক কাছাকাছি। গোলার্ধের অর্ধেকটা এরই মধ্যে দেখে ফেলেছে এই দৃশ্য। আর অপর পীঠে কেবল সন্ধ্যা নেমেছে। আকাশ অন্ধকারে ছেয়ে গেলেই ওই দূর আকাছে দেখা যাবে চাঁদের সমান্তরালে চলে এসেছে শুক্র ও মঙ্গল। বাইনোকুলারে দৃষ্টি ফেললে সহজেই চোখে পড়ছে এই দৃশ্য। এই রাতে শুক্র পৃথিবী হতে ১.৪২ অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিট দূরে এবং মঙ্গল ২.২০ অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিট দূরে অবস্থান করছে। এতে রাতের আকাশে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়ছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, কেও যদি মঙ্গল গ্রহ হতে দেখতে পেতো তাহলে একসঙ্গে তাদের চোখে পড়তো শুক্র ও পৃথিবী। আর তা এতই জ্বলজ্বলে যে ভোরের আকাশেও এই দুটি গ্রহ মনে হতো সূর্যের মতোই উজ্জ্বল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নক্ষত্রপুঞ্জ মীনের মধ্যে অবস্থান শুরু করেছে চাঁদ, শুক্র এবং মঙ্গল। আর মধ্য মার্চের দিকে এই চাঁদ ঢুকে পড়বে মেষ নক্ষত্রপুঞ্জে। আর মঙ্গল মেষে ঢুকবে মার্চের একেবারে শেষ নাগাদ।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্রহ দুটি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এসেছিলো খুব কাছাকাছি। এরপর ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর আবার নিকটে অবস্থান থাকবে তাদের।
জ্যোতিষীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, মহাকাশে এমন ধরনের ঘটনা ফিরে ফিরে এলেও এক সারিতে এমন তিন গ্রহ-উপগ্রহের অবস্থান ঘটার সময়টিতে পৃথিবী ধ্বংসের একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, মহাজাগতিক ধ্বংসের উপলক্ষ হয়েই মহাকাশে এই অদ্ভুত ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।