দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার বিশ্বের প্রথম রঙিন এক্স-রে। মানুষের শরীরে এই প্রথম রঙিন এবং থ্রিডি এক্স-রে আবিষ্কার করা হয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো মানুষের শরীরে রঙিন ও থ্রিডি এক্স-রে আবিষ্কার করলেন নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। ইএ কাজে তারা এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা রোগ শনাক্তকরণে বিশেষভাবে উন্নতি হবে। এই প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর রিসার্চ বা সংক্ষেপে সার্ন।
এক বিবৃতিতে সার্ন দাবি করেছে যে, এই রঙিন এক্স-রে প্রযুক্তিতে আরও স্পষ্ট ও পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে। যা চিকিৎসকদের রোগ নির্ধারণে বিশেষ সহযোগিতা হবে।
সার্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য বিখ্যাত। তারা মূলত এই রঙিন এক্স-রে তৈরি করেছেন সাধারণ সাদাকালো এক্স-রে প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই। সার্নের সবচেয়ে বিখ্যাত যন্ত্র, লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের একটি অংশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই রঙিন এক্স-রেটি।
সার্নের এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে, মেডিপিক্স। এটি একটি ক্যামেরার মতোই কাজ করছে।এটি প্রত্যেকটি আণবিক কণাকে শনাক্ত এবং গুনতে পারছে। যখন শার্টার খোলা হচ্ছে, তখন কণা ও পিক্সেলগুলো একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে।এতে যে ছবি উঠছে তা হাই রেজুলেশন এবং হাই কন্ট্রাস্টের।
সার্ন আরও জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে তোলা ছবিতে খুব সহজেই হাড়, পেশি এবং কার্টিলেজকে পৃথক করা যাবে। সঠিকভাবে জানা যাবে, ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমারের আকার এবং অবস্থান।
সার্নের এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে প্রস্তুত নিউজিল্যান্ডের কোম্পানি মারস বায়োইমেজিং। তাদেরকে এই কাজে সহযোগিতা করছে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবুরি।