দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রুপ লাবণ্য ধরে রাখতে সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে নানা ধরণের উপাদানের ব্যবহার। দিনের পালাবদলে এখন প্রাকৃতিক উপাদানের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নানা কৃত্তিম রং ফর্সাকারী উপাদান। তবে এই উপাদানগুলো সবার ত্বকের জন্য উপকারী নয়। কারণ কৃত্তিম রং ফর্সাকারী ক্রিমে নানা ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।
শুধু তাই নয় বর্তমানে এই রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলোর অনেক নকল বের হচ্ছে আবার কিছু নতুন কোম্পানি তাদের তৈরি ক্রিমগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা না করেই বাজারজাত শুরু করছে। এইসব ক্রিমগুলো ব্যবহারে দেখা দিচ্ছে ত্বকে নানা ধরণের চর্ম জাতীয় সমস্যা এমনকি ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টির মত নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আজ আমরা জানবো রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে আমাদের কি ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
১। দ্রুত রং ফর্সাকারী ক্রিম পরিত্যাগ করাঃ
কিছু ক্রিম রয়েছে যা ব্যবহারে খুব দ্রুত ত্বকের রং ফর্সা হয়ে যায়। এই জাতীয় ক্রিম ব্যবহার না করা। কারণ এই জাতীয় ক্রিমে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা ক্ষণিকের জন্য দ্রুত ত্বক ফর্সা করলেও ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি করে এবং এই সৌন্দর্য্য স্থায়ী হয় না। এই জাতীয় ক্রিম ত্বকের উপরিস্তর নষ্ট করে ফেলে। যার ফল স্বরুপ পরবর্তীতে আর চেষ্টা করেও ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় না।
২। বিদেশী ক্রিম ব্যবহারে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াঃ
সকল দেশের আবহাওয়া এক রকম নয়। কোথাও অধিক ঠান্ডা আবার কোথাও অধিক গরম। আমরা বিদেশী কোন ক্রিম দেখলেই মনে করি সেটা অনেক বেশি কার্যকরি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখি না যে আমাদের ত্বকের জন্য এই ক্রিম উপযোগী কি না। আবহাওয়া এবং জলবায়ুর সাথে ত্বকের এক নিবির সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিদেশি কোন ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে তা আপনার জন্য উপযোগী কি না তার জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।
৩। প্রসিদ্ধ এবং পরীক্ষিত ব্যান্ডের পণ্য ব্যবহারঃ
বর্তমানে অনেক নকল কোম্পানি বিভিন্ন রং ফর্সাকারী ক্রিম তৈরি করে থাকে যার নেই কোন অনুমোদন। এমন ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে নানা ধরণের চর্ম রোগ এমনকি ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তাই বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদন আছে এমন কোম্পানির ক্রিম ব্যবহার করা উচিৎ।
৪। অরিজিনাল টিউবে নকল ক্রিমঃ
বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যান্ডের অরিজিনাল টিউব সংগ্রহ করে তার মধ্যে নকল ক্রিম ঢুকিয়ে অরিজিনাল বলে বাজারজাত করছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ক্রিমের মুখে কোম্পানির হলোগ্রাম যুক্ত কোন স্টিকার লাগানো আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যে ক্রিমের মুখে অরিজিনাল হলোগ্রাম যুক্ত স্টিকার না থাকলে সেটা ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।
৫। মেয়াদ দেখে ক্রিম ব্যবহার করাঃ
আমরা অনেকেই কোন ক্রিম ক্রয়ের সময় তার মেয়াদ ঠিক আছে কি না তা দেখি না। আবার কোন ক্রিম হয়ত বাসায় অনেক আগে কেনা আছে তা মেয়াদ না দেখেই ব্যবহার করা শুরু করে দিই। এটা কখনোই ঠিক নয়। আজ থেকে নিজের ত্বক রক্ষা করতে কোন ক্রিম ক্রয়ের আগে তার মেয়াদ কত দিন আছে এবং আপনি যতদিন এটি ব্যবহার করবেন ততদিন এর সঠিক মেয়াদ থাকবে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন। এছড়া বাসায় পূর্বে ক্রয়কৃত কোন ক্রিম থাকলে তা ব্যবহারের পূর্বে মেয়াদ দেখে নিন।
একটি কথা মনে রাখবেন নিজের ত্বকের যত্ন নিজেকেই নিতে হবে। তাই আজ থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করুন।