দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের অযোধ্যায় অবিতর্কিত জমির ৬৭ একর ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর একদিন পরই রামমন্দির নির্মাণের দিন ঘোষণা করলো।
কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের অযোধ্যায় অবিতর্কিত জমির ৬৭ একর ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর একদিন পরই রামমন্দির নির্মাণের দিন ঘোষণা করলো।
গতকাল (বুধবার) প্রয়াগরাজে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে ধর্ম সংসদ। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ।
ধর্ম সংসদ আরও বলেছে, তাদের সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে মন্দির নির্মাণে দেরি করা যাবে না। সময় এসে গেছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ করার। আগে এখানে ভিত্তি প্রস্তর করা হবে। তারপর শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। এই ভিত্তি প্রস্তরের জন্য ৪টি পাথর নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যাতে। চারজন ব্যক্তি এই পাথর বহন করবেন। যাতে করে ১৪৪ ধারার লঙ্ঘন না হয়। ২১ ফেব্রুয়ারিতেই হবে মন্দির নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর।
লোকসভা মহারণের পূর্বে হিন্দু সংগঠনগুলির মুখে রামমন্দির নির্মাণের রব উঠেছে। আরএসএস ও বিজেপি নেতাদের একাংশ তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে।
এদিকে রামমন্দির ইস্যু এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। যে কারণে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপ থাকা স্বত্ত্বেও সরকারের হাত পা এখন বাধা। এই অবস্থায় রামমন্দির মামলায় নতুন একটি মোড় এনে দিলো কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছে যে, অবিতর্কিত ৬৭ একর জমিসমূহ মূল মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সুপ্রিম কোর্ট যদি সত্যিই এই দাবি মেনে নেয়, তাহলে তার অর্থ অবিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভীষণ খুশি সাধু সন্তরা। তাই আর দেরি না করে ধর্ম সংসদে রামমন্দির নির্মাণের দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অযোধ্যায় মোঘল আমলে নির্মিত বাবরী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক হয়ে আসছে। সেখানকার হিন্দুরা দাবি করছেন সেখানে নাকি তাদের রাম মন্দিল ছিলো। যে কারণে বাবরি মসজিদ ভাঙার মতো ঘটনাও ঘটেছে ভারতে। ঐতিহাসিক এই বাবরী মসজিদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতেও মামলা হয়েছে। রামমন্দির ইস্যু এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তারপরও নানা উসিলায় রাম মন্দির নির্মাণের পাঁয়তারা করছে দেশটির হিন্দু সংগঠনগুলি।