দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। কণ্ঠ মানুষের এক মূল্যবান সম্পদ। একজনের কণ্ঠের সাথে অন্যজনের কণ্ঠের তেমন মিল পাওয়া যায় না। অনেক দূর থেকে বা কাওকে না দেখে তার কণ্ঠ শুনেই বোঝা যায় কে কথা বলছে। এই কণ্ঠ ব্যবহার করেই মানুষ একজন অন্যজনকে অনুপ্রাণিত করছে। আবার এই কণ্ঠ ব্যবহার করেই খুব সহজেই কোন ব্যক্তিকে নিরুৎসাহী করা সম্ভব।
তাহলে বুঝতেই পারছেন কণ্ঠ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চাই তার কণ্ঠ সুন্দর হোক বা কোনভাবেই যেন কণ্ঠ পরিবর্তন না হয়। তবে নানা সমস্যার কারণে দেখা যায় কিছুদিন পর আপনার সেই মধুর কণ্ঠ নষ্ট হয়ে গেছে। কখনো বা বিভিন্ন রোগে এমন সমস্যা হতে পারে, আবার কখনো নিজের কিছু বদ অভ্যাসের কারণেও এমন সমস্যা দেখা দেয়। আজ আমরা জানবো কণ্ঠ কিভাবে ভাল রাখা যায়।
নানা কারণে কণ্ঠ পরিবর্তন বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে বিরামহীন কথা বলা, জোড়ে চিৎকার দেওয়া, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য সেবন করা, গলার মধ্যে সমস্যা মনে হওয়া সত্বেও সমাধান না করা। এমন নানা কারণে ধীরে ধীরে কণ্ঠ খারাপ হয়ে যায়। তাই কণ্ঠ ভাল রাখতে আপনাকে যা করতে হবে–
১। প্রথমেই উচ্চ স্বরে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আমরা সবাই জানি কোন স্পিকার বা মাইককে তার কার্যক্ষমতার সমান বা তার থেকে বেশি জোড়ে বেশিদিন বাজালে তা অচিরেই নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের কণ্ঠও তার ব্যতিক্রম নয়। স্পিকার নষ্ট হলে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। তবে আপনার কণ্ঠ একবার নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করার কোন উপায় নেই। তাই নিজ দায়িত্বেই জোরে কথা বলা বন্ধ করুন।
২। সুন্দর করে কথা বলার অভ্যাস করুন। সবাই কথা বলতে পারে কিন্তু সুন্দর করে কথা না বললে আপনার কণ্ঠ সুন্দর হবে না। তাই কথা বলার সময় তা গুছিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন।
৩। কম কথা বলার অভ্যাস করুন। বেশি কথা বললে কণ্ঠনালীর উপর অতিরিক্ত চাপ পরে। কারণ অনবরত কথা বলার ফলে কণ্ঠনালীতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফল স্বরুপ কণ্ঠ ভেঙ্গে যাওয়া, কণ্ঠ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, জোরে কথা বলতে না পারার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম কথা বলার অভ্যাস গরে তুলুন।
৪। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম কিছু দ্রুত খাওয়া বা পান করবেন না। এতে কণ্ঠনালী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডা কিছু স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন । তারপর সেটি খেতে বা পান করতে পারেন।
৫। নেশা জাতীয় জিনিস, যেমন মদ, হেরোইন, গাঁজা ইত্যাদি এমনকি যেকোন ধরণের ধুমপান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ ধুমপান এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য কণ্ঠনালীকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
৬। গলা বা কণ্ঠনালীতে কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তার চিকিৎসা করান। কারণ গলা বা কণ্ঠনালীতে বড় ধরণের কিছু হলে তা সারানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার। তাই যখনি কোন সমস্যা দেখা দিবে, তখনি তার সমাধান করার চেষ্টা করুন।
৭। দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কারণ পানি আপনার শরীরের সমস্ত কিছু স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই পানি পান করতে ভুলবেন না। কোন খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই কিছুটা হলেও পানি পান করুন। কারণ খাবারের কিছু অংশ আপনার কণ্ঠনালীর পাশে বেঁধে থাকতে পারে। আর এমন খাদ্য উপাদান দীর্ঘ সময় সেখানে বেঁধে থাকলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে।