দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২ আগস্ট ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ১৮ শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ৩০ জ্বিলক্বদ ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
অস্ট্রেলিয়ার অবার্ন গ্যালিপলি মসজিদটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি একটি ব্যতিক্রমি ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে।
এটি অটোমান স্থাপত্যশৈলীর একটি মসজিদ। এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছে তুর্কিরা। তুর্কি একটি বিখ্যাত জাতি এই মসজিদটি নির্মাণ করে। এরা বিশ্ব সভ্যতায় বহু অবদান রেখেছে। এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকায় এখনও তুর্কিদের তৈরি অনেক স্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে।
তুরস্কের বাইরেও বিভিন্ন দেশে তুর্কিদের বসবাস। অস্ট্রেলিয়াতেও এরা বসবাস করছে। দেশটির সিডনি নগরের অবার্ন শহরতলি তুর্কি সম্প্রদায়ের কেন্দ্র। এখানেই অবস্থিত অবার্ন গ্যালিপলি মসজিদ। এই মসজিদের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য ধ্রুপদী অটোমান (তুর্কি) ঘরানার। তবে মসজিদটি প্রাচীন মসজিদ নয়।
এই মসজিদে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রীয় গম্বুজ ও একাধিক মিনার। মসজিদের স্থপতি হলেন ওমের কিরাজগলু। নির্মাতা আহমেত আসিম যিনি তার সময়েই সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছেন।
অবার্ন গ্যালিপলি মসজিদে অস্ট্রেলিয়ান সমাজ ও অস্ট্রেলিয়ান তুর্কি মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
মসজিদটি নির্মাণে তহবিল জোগান দিয়েছে প্রবাসী এবং সেখানকার অভিবাসী তুর্কিরা। এই মসজিদের বেশির ভাগই মুসল্লি তুর্কি কিংবা তুর্কি বংশোদ্ভূত।
মসজিদের বর্তমান ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ১৯৮৬ সালে। ১৯৯৯ সালে এই মসজিদের নির্মাণ ও বাইরের আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হয়। ওই বছরই (১৯৯৯ সাল) ২৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এর পূর্বে ১৯৭৯ সালের ২ নভেম্বর বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ চালু করা হয়। এর অর্থ হলো মসজিদটি প্রথম চালুর প্রায় ২০ বছর পরে বর্তমান মসজিদ-ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিলো।
তথ্যসূত্র: http://old.dailynayadiganta.com