দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকার একটি দ্বীপ নানটুকেটে জুলাই মাসের ভ্রমণ বেশ রোমাঞ্চকর। গ্রীষ্মের ছুটিতে এখানে যে কেউ সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখতে পারে, ঘুড়ি উড়াতে পারে, বালির প্রাসাদ বানাতে পারে অথবা করতে পারে হাঙরের সাথে কুস্তি। সম্প্রতি এখানে একজন হাঙরশিকারীর সাথে হাঙরের কুস্তিযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনার ছবিও তোলা হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী এলিয়ট সুদাল জাহাজ কোম্পানিতে জবের জন্য ফ্লোরিডা থেকে নানটুকেটে এসেছেন। গত রবিবার তাকে সাত ফুট উচ্চতার হাঙরের সাথে কুস্তি করতে দেখা গেছে। যদিও তিনি বলেছেন এটি তার প্রিয় শখ।
এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, মাছ ধরার প্রতি তার চরম আকর্ষণ আছে। গত আট মাসে ধরেছেন একশ এর বেশি হাঙর এবং তিনি এই কাজ করতে পছন্দ করেন।
নানটুকেট সামুদ্রিক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ডাঙায় এলিয়েট সুদালের সাথে হাঙরের কুস্তির ব্যাপারটি এবিসি নিউজকে সুনিশ্চিত করেছেন।
সুদাল বলেন, যখন তিনি নিশ্চিত হলেন আশেপাশে হাঙর অবস্থান করতেছে তখন তিনি টোপ হিসাবে ব্লুফিস ব্যবহার করেন। এসময় হাঙর এগিয়ে আসে এবং ব্লুফিস অর্ধেক খেয়ে ফেলতে থাকেন। সুদাল অর্ধেক খাওয়া ব্লুফিস্টি নিক্ষেপ করেন এবং দুই মিনিটের মধ্যে হাঙরটিকে ডাঙায় টেনে নিয়ে আসেন যা বড়শির অপর প্রান্তে আঁটকে ছিলো।
তিনি প্রায় ৪৫ মিনিট বড়শিতে আটকে থাকা হাঙরটি ধরে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি ক্লান্ত হয়। তারপর তিনি বড়শিটি তার কাজিনের হাতে দেন এবং ঢেউয়ের মধ্যে হাঙরকে আক্রমণ করেন। এরপর সুদাল পানিতে দৌড়ে যান, হাঙরের লেজ ধরে ডাঙায় তুলে আনেন – আর হাঙর শিকারের সময় এটিই হচ্ছে সবচেয়ে অনিরাপদ কাজ।
এইসময় প্রায় ২০ জন দর্শক ভীড় করেছিলো যারা তাকে হাঙরের সাথে কুস্তি করতে দেখেছে এবং সে যখন সেখান থেকে চলে যায় দর্শকরা তাকে উদ্দেশ্য করে হাততালি দেন।
এলিয়ট সুদাল জানান, তিনি ছোট বেলা থেকেই মাছ শিকারে করছেন। দুই বছর আগে প্রথম হাঙরের মুখোমুখি হন এবং তার মতে সেটি ছিলো মানুষ আর সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে এপিক যুদ্ধ।
এলিয়ট সুদাল হাঙর ধরার পর তা আবার ছেড়ে দেন, এক্ষেত্রে তিনি হাঙর সংরক্ষণে উদারমনস্কতার পরিচয় দেন।
জানা গেছে, কেপকড উপকূলে সাদা হাঙরের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন সমুদ্র সৈকত বন্ধের পরিকল্পনা এখনও নেননি।
তথ্যসূত্রঃ এবিসি নিউজ