দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত-চীন সীমান্ত পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনার মৃত্যু ঘটে। চীন বেশ শক্ত অবস্থানে থাকে। তবে হঠাৎ করেই সুর নরম হলো চীনের।
ওই ঘটনার পর হতে দুই দেশই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। লাদাখে উত্তেজনা প্রশমনের মধ্যেই ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত শুক্রবার একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। এই বিবৃতিকে ‘সাবধানী দৃষ্টিতে’ই দেখছে ভারত। চীনা রাষ্ট্রদূতের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই দেশকে একে অন্যের সহযোগী হিসেবে ভাবতে হবে; প্রতিপক্ষ নয়’।
যদিও এই বিবৃতি ভারতের কৌতুহল আরও বাড়িয়েছে। দেশটির কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, অতীতের নিরিখে এই বিবৃতি শুধুমাত্র নরমই নয়, যথেষ্ট সমীহ উদ্রেককারীও বটে। এতো রক্তক্ষয়ের পর এই বিবৃতি জারির মূল উদ্দেশ্যই বা কী, সাউথ ব্লক আপাতত সেই ভাবনাতেই মশগুল।
শুক্রবার রাতে চীনা রাষ্ট্রদূত সুন উইডং ওই ভিডিও বিবৃতিতে আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্দেহ এবং বিরোধ দেখা দিলে তা দ্রুত মেটানো প্রয়োজন। দুই দেশেরই পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়ানো প্রয়োজন ও সময়ে সময়ে কৌশলগত আলোচনা করাও দরকার। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠার পূর্বেই দুই দেশের উচিত কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা। দুই দেশকেই বুঝতে হবে তারা একে অন্যের সহযোগী। প্রতিপক্ষ কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। দুই দেশেরই কোনো ফাঁদে পা দেওয়াই ঠিক হবে না। রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, চীন মোটেই সম্প্রসারণবাদী যুদ্ধবিলাসী কোনো দেশ নয়। ভারত ও চীন দুই দেশের কাছেই শান্তিই প্রাধান্য পাওয়া উচিত; সংঘর্ষ নয়।
পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই মুহূর্তে দুই দেশই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ে ভারত অবশ্য একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। যেমন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা উপস্থিতি বছরভর জোরদার রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বায়ু সেনা ঘাঁটিগুলোয় বছরভরই যুদ্ধকালীন সতর্কতা জারি রাখা হবে। ভারতীয় অর্থনীতির অতিরিক্ত চীন নির্ভরতা কাটানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বহু প্রকল্প হতে চীনা সংস্থা বাদ পড়ছে। চীনা অ্যাপও নিষিদ্ধ হচ্ছে। বন্দরে বন্দরে চীনা পণ্য খালাসে অ–শুল্ক বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। চীনা আমদানি কমাতে অন্যত্র তাকানোও শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, চীন-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট জোরদার করতে ভারতও উৎসাহী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না করেও ‘চীনা সম্প্রসারণবাদের’ সমালোচনাও করেছেন। এই পরিস্থিতিতে স্রেফ বানিজ্যিক স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে চীনা রাষ্ট্রদূত এমন নরম বিবৃতি দিলেন কিনা সাউথ ব্লকে তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, এই বিবৃতি অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে খুবই ‘সমঝোতা মূলক’ বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সূত্রের মতে, এর আগেও বেসরকারি স্তরে বিভিন্ন সংগঠন চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। তখন চীনা রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন ডেকে কড়া ভাষায় ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন যে, চীনা পণ্য বয়কট করা হলে ভারতীয় অর্থনীতিও পঙ্গু হয়ে যাবে। এবার সরকারি স্তরে বয়কট করার কথা বলা হলেও রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ছিলো নমনীয়। সূত্রটি মনে করছে যে, বিরূপ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করেই সুন উইডং এবার এই ‘সতর্ক ও সমঝোতামূলক’ বিবৃতি দিয়েছেন যাতে করে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো না হয়ে ওঠে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।