দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভবিষ্যতে বিজ্ঞান আমাদের জীবন কীভাবে বদলে দিতে পারে তা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয় হলিউডে। ১৯৮২ সালের ছবি ‘ব্লেড রানার’এ দেখানো হয় ভবিষ্যতের লসএঞ্জেলস শহরে আকাশের মহাসড়ক দিয়ে ছুটে চলেছে উড়ন্ত যানবাহন। সেই সিনেমার জিনিস এবার বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।
জার্মানির ভলোকপ্টার কোম্পানি তাদের ভলোসিটি মডেলের বিদ্যুৎশক্তি চালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিকে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই লাইসেন্স পেয়েছে। যে কারণে উড়ন্ত ট্যাক্সি এখন আগামী দশকগুলোতে আমাদের যাতায়াত, কর্মজীবন ও জীবনযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্যাটারি প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে এতোটাই অগ্রগতি হয়েছে যে উদ্ভাবকরা বর্তমানে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করে চলেছেন। সেই সঙ্গে এসব গাড়ি আকাশে কোন পথ ধরে চলবে তার পথ নির্দেশনা ও পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছেন তারা।
এটি বাণিজ্যিক বিমানের চেয়েও আকারে অনেক ছোট। বেশিরভাগই ডিজাইন করা হয়েছে ডানার বদলে হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণায়মান পাখা কিংবা রোটার দিয়ে। যাতে করে গাড়িগুলো খাড়াভাবে আকাশে উঠতে কিংবা নামতে পারে।
আরেকটি বিষয় হলো এই উড়ন্ত গাড়িগুলোর নক্সা তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে যাতে তারা দ্রুত এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় যেতে পারে। বিশেষ করে যানজটের শহরগুলোতে মানুষ যাতে দ্রুততার সঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
যদিও এই মুহূর্তে আকাশ যানের বাজার কতোটা আশাব্যঞ্জক তা বলা মুশকিল। অবশ্য বেশ কয়েকটি নতুন প্রতিষ্ঠান পাল্লা দিয়ে বাণিজ্যিক আকাশ-যান, উড়ন্ত মোটরবাইক ও ব্যক্তিগত উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন ইতিমধ্যেই।
ইতিমধ্যেই বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আকাশ পথে পরিবহন ব্যবস্থার নতুন নিয়মনীতি এবং নিরাপত্তার মান কী হবে তার একটি রূপরেখা তৈরির কাজও শুরু করেছেন।
জার্মান ভিত্তিক কোম্পানি ভলোকপ্টার তাদের ভলোসিটি মডেলের বিদ্যুৎশক্তি চালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিকে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সও দিয়েছেন। সংস্থাটির পরিকল্পনা অনুযায়ী এই যান আগামীতে পাইলটবিহীনভাবে উড়তে পারবে।
তবে শুরুর দিকে ভলোসিটির পাইলট চালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিতে বসতে পারবেন মাত্র একজন যাত্রী। যে কারণে এই রাইডের জন্য ভাড়া পড়বে একটু বেশিই। তবে তারা আশা করছেন যে, যাত্রীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হলে তারা স্বয়ং-চালিত মডেলও বের করবেন। যেখানে চালকের কোনো প্রয়োজন হবে না। জানা গেছে, ভলোসিটি বাণিজ্যিকভাবে তাদের উড়ান শুরু করবে ২০২২ সাল হতে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।