দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই হাঁটাহাটি কিংবা শরীরচর্চা করে থাকি। আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে এটি সহায়তা করে। তবে এর একটি মাত্রা রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রবদ্ধ হতে দেখা যায়, দৈনন্দিন কাজ যদি সঠিকভাবে করা যায় তাহলে প্রতিদিনের বাড়তি ক্যালরি ঝরে যায়। তখন দেহের হরমোনগুলিও নিজেদের কাজ করতে পারে। তবে সমীক্ষা থেকে এটাও দেখা গেছে, অতিরিক্ত ক্যালরি যদি দেহ হতে ক্ষয় হয়, তাহলে তা হবে বিশেষ ক্ষতির নিদর্শন। সমীক্ষা থেকে দেখা যায় যে, দেহে যে পরিমাণ ক্ষয় হয় তা পূরণ করে থাকে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য। দেহে খাদ্যের এই ভারসাম্যের কারণেই শরীর তার দৈনন্দিন কাজ করে। তবে সকল সময়েই যে এই পরিস্থিতি চলবে তা অবশ্য নয়। দেহে ক্ষয় ও পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় যে, দেহে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে, দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে অনেকেই নানা ধরনের শরীরচর্চাও করে থাকেন।
অথচ দেহের পক্ষে এটি মারাত্বকও হতে পারে। দেখা গেছে যে, সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে তা থেকে বেশি হয়ে গেলে দেহ তখন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা হতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা যারা অতিরিক্ত মেদধারী ছিলেন তারা প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরি ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা করতেন। তারপর সমীক্ষার শেষ পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেলো যে, তাদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ রয়েছেন, তাদের শরীরের মেদও অনেকটা কমেছে। তবে অন্য কয়েকজন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের মতে, এই কয়েকজনের শরীরে মেদ ঝরার পরিমাণ খুব বেশি হয়েছিল। যে কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ প্রতিদিন যতো পরিমাণ ক্যালরি খরচ করতে পারেন তার থেকে যদি বেশি খরচ করেন তাহলে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে দৈনন্দিন একঘন্টা করে শরীরচর্চা ওই ব্যক্তিকে সুস্থ রাখতে পারে। আবার অনেক মানুষ এমনও রয়েছেন যে, যারা সারাদিনে কোনো শরীরচর্চাই করেন না, অথচ তাদের দেহে ক্ষয় ও পুষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকই থাকে। তবে এটাও একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না যে, সপ্তাহে যদি ৩০০ মিনিট অন্তত শরীরচর্চা করা যায় তাহলে দেহ তার স্বাভাবিকতা বজায় রেখেই চলতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে বহু মানুষ প্রতিদিন সকালে উঠে যোগসাধনা করেন কিংবা সামান্য শরীরচর্চাও করেন, তাদের দেহ সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক থাকাটাই স্বাভাবিক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।