দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ মেছতা টিনেজারদের সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বিশাল চিন্তায় পড়ে যান। এটা সেটা লাগিয়ে মুখের বারোটা বাজিয়ে ফেলেন! আজ রয়েছে ব্রণ হলে আপনি কি করবেন সেই বিষয়টি আলোচনা।
চিকিৎসকরা পাইলোসেবাসিয়াস ফলিকলের ক্রনিক অকার্যকারিতাকে ব্রণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকেন। ত্বকের সাধারণ অসুখের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্রণে আক্রান্ত-রোগীর সংখ্যায় সর্বাধিক। তারপর মেছতা এবং মুখের অন্যান্য দাগে আক্রান্তদের অবস্থান রয়েছে।
ব্রণ ও মুখের দাগের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করা বেশ সময় সাপেক্ষ বিধায় স্বল্প খরচে এই রোগগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে আক্রান্তদের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া মোটেও অসম্ভব কিছু হবে না। এক্ষেত্রে তারা হতাশাগ্রস্থ না হয়ে প্রয়োজনীয় সময় চিকিৎসা গ্রহণ করেও সুস্থ হতে পারবেন।
খুব একটা জটিল আকার ধারণ করেনি এমন ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে একক ওষুধ হিসেবে বেনজাইল পারঅক্সাইড বাহ্যিক প্রয়োগে সুফল পাওয়া সম্ভব। অপেক্ষাকৃত জটিল ব্রণে ইরিথ্রোমাইসিন লোশন, ক্লিন্ডামাইসিন লোশন, রেটিনিক এসিড এবং বেনজাইলপার অক্সাইড’র মধ্যে কোনো একটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
জটিল ব্রণে বাহ্যিক প্রয়োগের ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু মুখে খাবার ওষুধ খেলেও স্বল্প খরচে ভালো ফলাফল আশা করা যাবে। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ব্যবহুল ওষুধ ইরিথ্রোমাইসিন টেবলেট, মিনোসাইক্লিন, ক্লিন্ডামাইসিন ও আইসোট্রেটইনওইনও খাওয়া যেতে পারে।
ব্রণের জন্য বিশেষ ধরনের তৈলাক্ততাবিরোধী আমদানিকৃত সাবানও পাওয়া যায়। মেছতা এবং মুখের অন্যান্য দাগে বিভিন্ন লাইটেনিং এজেন্ট ও ব্লিচিং এজেন্টও পাওয়া যায়। ব্লিচিং এজেন্ট শতকরা ৮০% ক্ষেত্রেই কার্যকর। এক্ষেত্রে হাইড্রোকুইনন অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে পাওয়া যাবে।
মনে রাখতে হবে যে, মুখে যে কোনো ওষুধ লাগানোর আগে অভিজ্ঞ ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
যা সামনে পাবেন তাই মুখে লাগাবেন- এই বদঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তানাহলে আপনার ত্বকের বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।