দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকাটা জরুরি। কোন ফলগুলো খাবেন কোনগুলো এড়িয়ে চলবেন সেটি আজ জেনে নিন।
ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর অনেক নিয়মই মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে রাশ টানতে হয় খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ইচ্ছামতো সব খাবারও খাওয়া যায় না। মিষ্টি তো বটেই, সেই সঙ্গে বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াও একেবারেই নিষেধ। খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম মেনে না চললে ডায়াবেটিস বশে রাখা খুব সহজ কাজ নয়। তবে যে কোনও অসুস্থতাই হোক না কেনো, নিয়ম করেই ফল খেতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এতে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারেরে মতো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নানা রকম উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ও পেটের যত্ন নেওয়া- সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফল।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে যে, নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ফল খাওয়াতেও সতর্কতা মেনে চলাটাও জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সব ফলই খাওয়া যাবে না। কারণ হলো, ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম নয়। যা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জি.আই) উপরের দিকে থাকে, ডায়াবেটিস হলে সেই সব খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কিছু ফলের জি.আই অনেকটা বেশি। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সেই ফলগুলো একেবারেই খাওয়া যাবে না। তবে কিছু ফলে জি.আই কম। সেগুলো নির্দ্বিধায় খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগিরা।
ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ফল খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ফল খাওয়ার পাশাপাশি কতোটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম বলে একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে নিলেও হবে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস থাকলে প্রতিদিন ১০০-১৫০ গ্রাম ফলের বেশি খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। জি.আই বেশি হোক কিংবা না-ই হোক, ফল খেলে অবশ্য কম করে খাওয়াই ভালো। কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীরা খেতেও পারেন। আবার কিছু ফল রয়েছে ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য বিপজ্জনকও হয়ে উঠতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কোন ফলগুলো খেতে বাধা নেই
আপেল, পেয়ারা, কমলালেবু, তরমুজ, পেঁপে- এই ৫টি ফল ডায়াবেটিকরা খেতেই পারেন। এই ফলে ফ্যাটের পরিমাণও অনেক কম। সেইসঙ্গে ক্যালোরি, সোডিয়ামও অনেক কম পরিমাণে থাকে এই ফলগুলোতে। অপরদিকে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণও এতে অনেক বেশি। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
কোন ফলগুলো এড়িয়ে চলবেন
আম, কলা, কাঁঠাল, আতা, সবেদা, আঙুর- এই ফলগুলোতে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ হলো, এগুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক অনেক বেশি। ডায়াবেটিস থাকলে ভুলেও খাবেন না এই ধরনের ফলগুলো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।