দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা কারণে অনেক সময় ঘুম ঠিক করে হয় না। কাজের ব্যস্ততা তো রয়েছেই সেইসঙ্গে অনেকেরই ঘুম না আসার সমস্যায় শরীর ও মন ভালো থাকে না। এমন সমস্যা হলে কী করবেন?
ভালো ঘুম হওয়ার কয়েকটি টোটকা রয়েছে। সেগুলো কাজে লাগালে দরকার পড়বে না ঘুমের ওষুধ খাওয়ার।
দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং কাজের ব্যস্ততায় ঘুমের চক্র বদলে যেতে পারে। অথচ শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ওষুধই হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। যে কারণে রোগ প্রতিরোধও ক্ষমতা মজবুত হয়ে ওঠে। সংক্রমণও ঠেকায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের ঘাটতি থাকলে শরীরের অন্দরে নানা রকম অসুখের জন্ম নেয়। ঘুম ভালো হলে কাজেরও গতি থাকে। আবার শরীর চাঙ্গা থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে ঘুম ঠিক করে হয় না অনেকের। কাজ, ব্যস্ততা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে অনেকের ঘুম না আসার সমস্যাও রয়েছে। তবে ভালো ঘুম হওয়ার কয়েকটি টোটকাও রয়েছে। সেগুলো কাজে লাগালে ঘুমের ওষুধের দরকার পড়বে না।
প্রতিদিন একই সময় ঘুমোন
প্রতিদিন ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। একদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লেন, আবার অন্য দিন নেটফ্লিক্সে সারারাত সিরিজ় দেখে ভোরে ঘুমোতে গেলেন। এমন অভ্যাসে ব্যাহত হতে পারে ঘুমের চক্র। প্রভাব পড়বে শরীরের উপরেও। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা দরকার। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই সময়টি হতে পারে ৭-৮ ঘণ্টা। তবে ঘুমোতে যাওয়ার সময় এ দিক-ও দিকে সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপও পড়তে পারে। আবার ওজন বেড়ে যাতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমোন।
নিমের পানিতে গোসল
নিম শরীরের ভিতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। নানা রকম ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণ থেকেও দূরে রাখতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহনাশক হিসাবেও কাজ করে। শরীরের ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকলে ঘুমও ভালো হবে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ঈষদুষ্ণ নিমপানিতে গোসল করুন। এতে উপকার পাবেন।
পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করতে পারেন
আমরা রান্না সুস্বাদু করার জন্য ঘি ব্যবহার করি। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন, তারাও ভরসা রাখতে পারেন ঘি’র উপর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে পায়ের পাতায় ঘি মালিশ করলে ঘুম আসবে বেশ তাড়াতাড়ি। সেইসঙ্গে ঘুমও গাঢ় হবে। ঘি রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে। রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকলে ঘুমও তখন ভালো হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।