দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব একটা ধারণা নেই। চিকিৎসকরা বলেছেন, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বহু রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে।
মূত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি অন্যতম যৌগ। শরীরের মধ্যে এটি থাকবেই। কার শরীরে কতোটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, সেটি নির্ভর করে সেই ব্যক্তির খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ ও বিপাকের হার কেমন ঠিক তার উপর। হঠাৎ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে তা অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমাও হতে থাকে। দীর্ঘদিন জমতে জমতে তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকারও নেয়। যে কারণে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নষ্ট হতে পারে। অপরদিকে, কিডনিতে কিংবা মূত্রনালিতে পাথর জমার অনেক কারণের মধ্যে এটিও একটি। চিকিৎসকরা বলেছেন, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। কারও দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তো কথাই নেই। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে সেটি আজ জেনে নিন।
বাতের ব্যথা
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমে এক সময় অল্প বয়সে বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এই ধরনের ব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষত: যাদের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের আরও বেশি করে সাবধানে থাকতে হবে।
কিডনি সমস্যা
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো এক সময় কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। কিডনি বিকল পর্যন্তও হয়ে যেতে পারে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা
তাছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যেতে পারে। কারণ হলো, এই অ্যাসিড পরোক্ষভাবে রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে পারে- এমন কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।