দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বাড়ার পর নিয়মিত কিডনির যাবতীয় পরীক্ষা করানো উচিত। ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে আরও বাড়তি সতর্ক হতে হবে। এই অবস্থায় সুস্থ্য থাকতে করণীয় জেনে নিন।
রেচনতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গই হলো কিডনি। কিডনির প্রধান কাজই হলো রক্তে থাকা দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করা। তাছাড়াও কিডনি রক্তে লবণ ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে, এটি ক্যালশিয়াম শোষণেও সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে নানা রকম শারীরিক জটিলতাও সৃষ্টি হয়।
কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দুটি কিডনিই ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি। ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া, ক্লান্তি, গোড়ালি ফোলা, প্রস্রাবে রক্ত, অনিদ্রা, চুলকানি, পেশিতে খিঁচুনি এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলিকে কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। একটা বয়সের পর থেকেই নিয়মিত কিডনির যাবতীয় পরীক্ষা করানো উচিত। ডায়াবিটিস ও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এই বিষয়ে করণীয় জেনে নিন।
নিয়ম করে শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চা যে কোনও রোগেরই ঝুঁকি কমায়, কিডনির অসুখও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। সেইসঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কিডনির সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি বিষয়। শরীরচর্চা করার সুযোগ বা সময় যারা পান না তাদের জন্য নিয়মিত হাঁটাহাটি, দৌড়ঝাঁপ, সাঁতার কাটা কিংবা সাইকেল চালানোর মতো অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকরও হতে পারে। সময় করে কোনও না কোনও উপায়ে শারীরিকভাবে সচল থাকার চেষ্টা করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আমরা অনেকেই জানি ডায়াবেটিস কিডনির সমস্যা ডেকে আনে। ডায়াবেটিসে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, সে কারণে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে হলে কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়। সেই কারণেই বারংবার মূত্র ত্যাগের প্রবণতা দেখা দেয়। তাই রক্তে শর্রকার মাত্রা সামান্য বাড়লেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে।
ধূমপান কমানো
ধূমপান শুধু ফুসফুসই নয়, কিডনিরও ক্ষতি করে থাকে। ধূমপানে রক্তনালির ক্ষতি হয় এবং দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যাও তৈরি হয়। যা কিডনির উপর মারাত্মকভাবে চাপ তৈরি করে। ধূমপান কিডনির ক্যান্সারের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পানি খেতে হবে এই কথা সকলেই জানেন। তবে বাস্তবে দেখা যায় যে, অনেকেই পরিমিত পরিমাণে পানি পান করেন না। দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা আবশ্যক। আবহাওয়া বা শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই পরিমাণ বদলেও যেতে পারে।
প্রয়োজন ছাড়াই যখন তখন ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা
পেট ব্যথা থেকে সর্দিকাশি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেয়ে ফেলার অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে অধিকাংশ প্রদাহনাশক ওষুধ, আইবুপ্রফেন বা ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ওষুধ অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রয়োগ করলে কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তে পারে। শরীরে কোনও অংশে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা কিংবা আর্থরাইটিসের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে কিডনির ক্ষতিও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।