দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)।
আইএসডি’র শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তারা কুমিল্লা অঞ্চলের ২ হাজার বন্যাপীড়িত পরিবারের মাঝে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেন।
বানভাসি মানুষের সহায়তায় অনুদান নিয়ে এগিয়ে আসেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও কর্মীরাসহ পুরো আইএসডি পরিবার। স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে তারা ত্রাণ সংগ্রহ করেন, প্যাকেট করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে পৌঁছে দেন। গ্রেড ১২ এর শিক্ষার্থীরা এই পুরো কার্যক্রমটি দায়িত্ব নিয়ে দেখভাল করেন।
এ বিষয়ে আইএসডি’র হেড অব সায়েন্স ও সিএএস (ক্রিয়েটিভিটি, অ্যাকশন, সার্ভিস) কো-অর্ডিনেটর চার্লস গুম্বা বলেন, “বন্যায় এখনও হাজারো মানুষ আটকে রয়েছেন।
মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের খবর পেয়ে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সমব্যথী হয়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধ থেকে আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মী ও অভিভাবকরা এই ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org