দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভবিষ্য্যতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ক্রেতাদের জন্য সম্প্রতি পরিবেশবান্ধব পচনশীল (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ নিয়ে এলো অনার বাংলাদেশ। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এই ধরনের উদ্যোগ নিলো। ব্যাগগুলো বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্সের (বিসিএসআইআর) সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।

পচনশীল এই ব্যাগগুলো ডিন ভের্টো ও ইউনিভার্সাল লাইফ ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ইউএলভিএস) মতো আন্তর্জাতিক সনদও পেয়েছে। টিইউভি রাইনল্যান্ড গ্রুপের সার্টিফিকেশন বডি ডিন কের্টোর সাথে ডিন ভের্টোর এই সার্টিফিকেশন মার্ক সম্পর্কিত। ডিন কের্টো পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে সনদ প্রদান করে। এ সনদ যাচাই করে জার্মান ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন; ও এটিকে মানদণ্ড উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হয়। আর ইউএলভিএস, আইএসও ১৪৮৫৫-১:২০১২ মানদণ্ড পূরণ করেছে এমন পণ্যের ক্ষেত্রেই এ সনদ প্রদান করা হয়।
ব্যাগগুলো পচনশীল উপাদান ব্যবহার করে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে ব্যবহারের পর এগুলো মাটিতে প্রাকৃতিকভাবেই মিশে যাবে। সবুজ বিশ্ব গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অনার বাংলাদেশের এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই বিষয়ে অনার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “গো গ্রিন, গো বিয়ন্ড মন্ত্রের পাশাপাশি, টেকসই উন্নয়ন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সবার জন্য টেকসই আগামী নিশ্চিতে ক্রেতাদের পরিবেশ-সচেতন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে উজ্জীবিত করতে পেরে এবং তাদের জন্য পচনশীল ব্যাগ নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এই রকম ছোট ছোট পদক্ষেপই আমাদের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org