দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাক্ষণ বকাবকি করলে, শিশুর আত্মবিশ্বাসে আঘাতও লাগে। কী কী করলে শিশুর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে? শিশুর আত্মবিশ্বাস যেনো অটুট থাকে সেটি দেখা দরকার।
আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে শিশুর শারীরিক ও মানষিক বৃদ্ধিতে বাধা গ্রস্থ হয়। কারণ সকলেরই কিছু না কিছু সুপ্ত প্রতিভা থাকেই। তবে নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকার কারনে, অনেক সময় সেই প্রতিভা চাপাও পড়ে যায়। তাই শিশুর আত্মবিশ্বাস যাতে করে বজায় থাকে, সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে। অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে বা সারাক্ষণ বকাবকি করলে, খুদের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত লাগতে পারে। কী কী করলে শিশুর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
# শিশুদের মনে দায়িত্ববোধ আরও বাড়াতে হবে। তাকে ছোট কাজের দায়িত্ব দিতে হবে। নিজের বইপত্রগুলো গুছিয়ে রাখা, নিজের হাতেই খাওয়া, জামাকাপড় গুছিয়ে রাখার মতো ছোট-খাটো কাজগুলো শিশুদের দিতেই পারেন। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।
# শিশুরা যেনো নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে- সেই বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। যেমন- তারা কী পোশাক পরবে সেই সিদ্ধান্তটাও তাদেরকেই নিতে দিন। অনেক বাবা-মা-ই আছেন শিশুর সিদ্ধান্ত তেমন একটা গুরুত্বই দেয় না, নিজের সিদ্ধান্তই তাদের উপর চাপিয়ে দেন। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিলে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।
# যে কোনও পরীক্ষা কিংবা প্রতিযোগিতায় যদি সন্তান খারাপ ফল করে বসে, তাহলে তাকে বকাবকি করা কখনওই উচিত হবে না। এতে তাদের মনোবল আরও ভেঙে যায়। বরং তাদের উৎসাহিত করুন পরের বার আরও ভালো ফলাফল করার জন্য। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org