দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে করে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ হতে জানানো হয়, গাজায় হামলা চালানোর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছে ইসরায়েল। এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ হতে দাবি করা হয়, গাজায় হামলায় হামাসের অনেক সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে যে, হামাস সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় গাজার ৩টি বাড়ি হামলা শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও রাফাহ ও খান ইউনিসেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল আজ (মঙ্গলবার) সকালে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ নেওয়ার একদিন পূর্বে ১৯ জানুয়ারি হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য শেষমেশ হামাস এবং ইসরায়েলের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এরপরই গাজায় আবারও অতর্কিত হামলা শুরু করলো ইসরায়েল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org