দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার চারপাশে এমন অনেকেই রয়েছে, যাদের ভাবনাও অত্যন্ত নেতিবাচক। তাদের সংস্রব এড়িয়ে না চলে, আপনার মধ্যেও সেই নেতিবাচক ভাবনাগুলো স্থানান্তরিত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

শরীর যেমন ভালো রাখতে হবে, তেমনি মনের যত্ন নেওয়ার কথাও ভুলে গেলে চলবে না। কারণ হলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে, স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হতে পারে। তাই জীবনে নেতিবাচকতাকে প্রশ্রয় না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে আপনার চারপাশে এমন অনেকেই রয়েছে, যাদের ভাবনা-চিন্তা অত্যন্ত নেতিবাচক। তাদের সংস্রব এড়িয়ে না চলে, আপনার মধ্যেও সেই নেতিবাচক ভাবনা স্থানান্তরিত হওয়ার ঝুঁকিও থেকেই যায়।
তবে নেতিবাচক মানুষ চেনার কিছু লক্ষণ আছে। এই ধরনের মানুষের পৃথক কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। তাহলে আপনি নেতিবাচক চিন্তাভাবনার মানুষ চিনবেন কীভাবে?
১। সমস্যা হলে অভিযোগ থাকতেও পারে। তবে কারও যদি খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয় নিয়ে অভিযোগ থাকেই, তাহলে তেমন মানুষের সঙ্গে এড়িয়ে চলাই জরুরি। এই ধরনের মানুষরা আসলে অল্পতেই সন্তুষ্ট নন। পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে চলার মানসিকতাও তাদের নেই। এই ধরনের মানুষের সঙ্গ যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
২। বাড়ি, অফিস, বন্ধুবৃত্ত-কেও কী সব সময়ই আপনার কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন? তাহলে সেই সঙ্গ এড়িয়ে চলা দরকার। কাজের সমালোচনা কেও করতে পারেন। তবে সব কাজে ভুল ধরা বা স্বার্থপর মনোভাব নিয়ে চলা একেবারেই উচিত নয়।
৩। লক্ষ্যহীন মানুষের সংস্পর্শ ত্যাগ করাটা জরুরি। লক্ষ্য থাকলে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিও সহজ হয়। যাদের জীবনে কোনও লক্ষ্যই নেই, তারা উন্নতির পথেও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। যদি আপনার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই ধরনের সঙ্গ জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধাও হয়ে দাঁডাতে পারে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org