দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বলিউডে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ব্যাপক প্রভাব ছিল। যেমন সিনেমায় অর্থ ঢালতেন মাফিয়ারা, আবার তারকারাও হুমকি পেতেন নানা কারণেই।

ওই সময় ভয় পেয়ে অনেকেই চুপ করে থাকতেন। তবে এক অভিনেত্রী সাহস করে সেই অন্ধকার শক্তির মুখোমুখিও দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি হলেন প্রীতি জিনতা।
‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’র সময়ের হুমকি
২০০১ সালে সালমান খান এবং রানী মুখার্জির সঙ্গে ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি জিনতা। সেই সময় খবর ছড়ায় যে, সিনেমাটিতে নাকি বিনিয়োগ করেছিলেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা শাকিল। পুলিশ বিষয়টি জানার পরই ছবির প্রিন্ট জব্দ হয়, সেই সময় পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই প্রীতি এবং আরও কয়েকজন তারকা হুমকির ফোনও পান। তবে অন্যদের মতো ভয় পেয়ে পিছু হটেননি প্রীতি জিনতা।
একাই আদালতে দাঁড়ানো
ওই মামলা আদালতে যাওয়ার পর পুলিশ জিজ্ঞাসা করেন, তারকারা কী সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত? অধিকাংশই গা বাঁচিয়েছেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডকে তারা সরাসরি চ্যালেঞ্জ করতে চাননি। তবে প্রীতি জিনতা পিছপা হননি মোটেও। তিনি আদালতে স্পষ্টভাবে গ্যাংয়ের নাম উল্লেখ করেন ও জানান যে, তাকে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়।
এরপর কী ঘটেছিল?
প্রীতির সাহসী সাক্ষ্যের পর পুলিশ গ্রেফতার করে অর্থ লগ্নিকারী ভরৎ শাহ ও প্রযোজক নাজিম রিজভিকে। বলিউড ইতিহাসে প্রীতির এই পদক্ষেপ বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে, যেখানে এক নায়িকা কেবল পর্দায় আলোই ছড়াননি বরং তিনি ছিলেন অনন্য সাহসের প্রতীক। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org