দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের হামলার ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ছিল গোটা বলিউড। এরইমধ্যে নভেম্বর মাসে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

জম্মু-কাশ্মীরের হামলার ঘটনার সময় এই নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও এবার এই দুই হামলার বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। এইসব ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২২ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ‘গ্লোবাল পিস অনার্স’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুম্বাই, পহেলগাঁও ও দিল্লির ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন শাহরুখ খানও।
ওই সময় সকলের উদ্দেশে শাহরুখ বলেন, ‘২৬/১১ হামলা, পহেলগাঁও ও দিল্লিতে যাদের প্রাণ গিয়েছে, তাদের প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, আমি তাদেরকে প্রণাম জানাচ্ছি।’
শাহরুখের ভাষায়, ‘যদি কেও আপনার কাছে জানতে চান, আপনি কী করেন, আপনি সগর্বে বলুন, আমি দেশকে রক্ষা করি। যদি কেও আপনাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার আয় কতো, তাহলে ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে বলুন, আমি ১৪০ কোটি মানুষের আশীর্বাদ অর্জন করি।’
‘যদি তারা আবারও আপনাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কী কখনও ভয় পান না? তাদের চোখে চোখ রেখে তখন বলুন, যারা আমাদেরকে আক্রমণ করে, তারাই ভয় পায়।’
কিং খান আরও বলেন যে, ‘আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তির পথ খুঁজি। জাতি, ধর্ম ও বৈষম্য ভুলে মানবতার পথে হাঁটি, যাতে দেশের শান্তির জন্য আমাদের বীর শহীদদের লড়াই কখনও যেনো বৃথা না যায়।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org