দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোয়াটসঅ্যাপে নিজস্ব চ্যানেল খুলে খুব সহজেই বেশিসংখ্যক ব্যক্তিকে হালনাগাদ তথ্য জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে জরিপ চালানো যাবে।

যে কারণে কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব চ্যানেলের সদস্যদের একসঙ্গে হালনাগাদ তথ্য জানানো ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামতও নিতে পারে। এবার চ্যানেলকে আরও অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে ‘কুইজ’ সুবিধা চালু করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই সুবিধাটি চালু হলে চ্যানেলের প্রশাসক কুইজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুসারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্যও জানতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডব্লিউ আ বেটা ইনফো’ জানিয়েছে যে, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের আইওএস বেটা সংস্করণে কুইজ সুবিধার উপস্থিতি দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে এই সুবিধাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চ্যানেল কুইজ’। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে চ্যানেলের প্রশাসকরা অনুসারীদের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে কুইজের আয়োজনও করতে পারবেন। কুইজে থাকা কোন উত্তর কতজন অনুসারী বেছে নিয়েছেন সেটিও দেখতে পারবেন তারা। কুইজের ফলাফলের ভিত্তিতে অনুসারীদের আগ্রহ সম্পর্কে ধারণাও পাওয়া যাবে।
পোলের তুলনায় কুইজের ব্যবহার একেবারেই ভিন্ন হবে। কারণ হলো, পোলে অনুসারীরা মতামতও জানাতে পারেন। তবে কুইজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুসারীদের জ্ঞান যাচাইয়ের সুযোগও পাওয়া যাবে। কুইজ তৈরি করতে প্রশাসককে একটি প্রশ্নের সঙ্গে একাধিক উত্তরের বিকল্পও যুক্ত করতে হবে। যারমধ্যে অন্তত একটি উত্তর সঠিক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বাধ্যতামূলক। এই ফিচারে উত্তরের অপশনের সঙ্গে ছবি যুক্ত করার সুবিধা থাকছে। এতে শিক্ষামূলক কনটেন্ট, ছবিভিত্তিক প্রশ্ন বা ব্র্যান্ড–সংক্রান্ত কুইজ আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপনও করা যাবে। কুইজ প্রকাশের পর অনুসারীরা একটি উত্তর নির্বাচন করে এতে অংশও নিতে পারবেন। সঠিক উত্তর বেছে নিলে পর্দায় স্বল্প সময়ের জন্য কনফেটি অ্যানিমেশনও দেখা যাবে। তবে ভুল উত্তর দিলে কোনো রকম দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে না।
কুইজের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপ আগের নীতিই বহাল রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কুইজে অংশ নেওয়া কোনো ব্যক্তি যদি চ্যানেলের প্রশাসকের কন্টাক্ট তালিকাতে সরাসরি যুক্ত না থাকেন, তাহলে তার প্রোফাইলের সীমিত তথ্য দেখা যাবে। অনেক ক্ষেত্রে সেটি শুধু প্রোফাইল ছবিতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সেটিংসের ওপর নির্ভর করবে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকা সুবিধাটি কবে নাগাদ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, সেই বিষয়েও এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্র : টেকলুসিভ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org