দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আর এই রায় নিয়ে দেশের সর্বমহলে চলছে নানা শংকা।
পরিস্থিতি আসলে কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে এক নাজুক অবস্থা। এমতাবস্থায় তারেক রহমানের রায় একটা বিশাল প্রভাব পড়বে রাজনৈতিক মহলে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল আদালত ঘোষণা করেছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে ২০ কোটি টাকা পাচারের মামলার রায় পরশু রোববার ঘোষণা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামি মামুনের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করে দেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে, অস্থির রাজনীতির মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটিব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।