দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ Rolls-Royce জানিয়েছে তারা তাদের জেট ইঞ্জিন তৈরিতে 3D printers ব্যবহার করবে, এ ক্ষেত্রে এটি অনেক সাশ্রয়ী এবং সময় বাঁচাবে।
3D printers দিয়ে সাধারণত সকল প্রকার পণ্য তৈরি করা যায় কম্পিটারের নির্দেশ মোতাবেক। এক্ষেত্রে কাগজের 2D printers প্রযুক্তিতে সাধারণত যেকোনো প্রিন্ট দ্বিমাত্রিক হলেও 3D printers এ ত্রিমাত্রিক প্রিন্ট করা সম্ভব। ফলে Rolls-Royce জানিয়েছে তারা তাদের প্যাসেঞ্জার জেট ইঞ্জিন তৈরিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ Rolls-Royce বলেন, “উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে আগে আমরা আমাদের জেট ইঞ্জিনের জন্য পার্টস তৈরি করতে আমাদের দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হত, কিন্তু আধুনিক 3D printers ব্যবহার করে এসব পার্টস তৈরি করতে সময় অনেক সাশ্রয় হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে আমরা কোন পার্টস তৈরির জন্য অর্ডার দিলে প্রায় ১১ মাস সময় লেগে যেত পার্টস হাতে পেতে। কিন্তু 3D printers প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি এক সপ্তাহ তেও পার্টস হাতে পাওয়া যায় তবে এটা সত্যি অনেক কম সময়ে পার্টস হাতে পাওয়া হবে বলে বেঁচে যাবে অনেক মূল্যবান সময়।”
Dr Wapenhans বলেন, “3D printers প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে পার্টস সমূহ স্টোর করে রাখার প্রয়োজন হবেনা, যখন লাগবে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নিলেই হবে। ফলে আলাদা স্টোর খরচ লাগবেনা সাশ্রয় হবে অনেক অর্থ।”
3D printers যদি প্রাথমিক ভাবে জেট ইঞ্জিনের পার্টস তৈরি করতে সক্ষম হয় তবে খুব জলদি বিশাল পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেট ইঞ্জিনের পার্টস তৈরির প্রক্রিয়ায় হাত দেয়া হবে।
সাধারণত 3D printers প্ল্যাস্টিক ব্যবহার করে তবে সর্বশেষ সংস্করণে 3D printers এর কাঁচা মাল হিসেবে সিরামিক এবং ষ্টীল ব্যবহার করা যাবে।
এদিকে জার্মানির বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান BMW জানিয়েছে তারাও ভবিষ্যতে গাড়ির ইঞ্জিন পার্টস তৈরিতে 3D printers প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন ফলে তারা 3D printers অ্যাপ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে।
সূত্রঃ Dailymail