দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ফ্লোরিডার সমুদ্র উপকূলে রহস্যজনকভাবে আটকা পড়া ২২টি তিমি মারা গেছে। তিমিগুলোর মরে যাবার কারণ এখনো শনাক্ত করা যায় নি। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ধারণা করা হয়েছিল, পঞ্চাশেরও অধিক তিমি আটকে পরেছে। জাতীয় সমুদ্র এবং বাযুমন্ডল সংক্রান্ত সংস্থা NOAA এর সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি, কি কারণে এতগুলো তিমি সমুদ্র উপকূলে আটকা পড়ল। এভারগাল্ড ন্যাশনাল পার্কের অদূরে দুর্গম একটি এলাকায় তিমিগুলোর আটকে পরার খবর প্রথম আসে মঙ্গলবার। ওই সময় অনুসন্ধানে ১১টি তিমি মৃত পাওয়া গেলেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২২। মোট ২৯ টি তিমি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
জীব বিজ্ঞানীদের মতে, তিমিগুলো দীর্ঘ সময়ে সাঁতারের ফলে পানি শূণ্যতায় dehydration ভুগতে পারে। এছাড়া খাবারের অভাবে পুষ্টিহীনতায় দেখা গেছে।
NOAA থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি আটকে পরা তিমিদের গভীর সমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তিমির অবস্থার ট্র্যাক করা সম্ভব হয়েছে। ফ্লোরিডায় উপকূলে তিমির আটকে পরার ঘটনা বিরল।
তিমিগুলোকে পাইলট তিমি নামে ডাকা হলেও আদৌ পাইলট তিমি, তিমি নয়। বরং এরা সামুদ্রিক ডলফিন পরিবারের সদস্য। স্পেনীয় ভাষায় পাইলট তিমিদের ক্যালডেরন নামেও ডাকা হয় যার অর্থ বড় কড়াই। সাধারণত এরা দল বেধে বিচরণ করে। বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকায় লাল তালিকাভুক্ত হলেও পাইলট তিমির দীর্ঘ সময় টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, বাজফিড, উইকিপিডিয়া