দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয় নিখোঁজ বিমানটির খোঁজ এখনও মেলেনি। রহস্য ঘেরা এই নিখোঁজের জট না খুললেও স্বজনরা এখনও আশায় বুক বেঁধে আছেন।
বিমানটি প্রথমে নিখোঁজ হওয়ার কথা যেনে নিখোঁজদের পরিবারবর্গ ভেবেছিলেন কেওই আর বেঁচে নেই। কিন্তু যখন থেকে ছিনতাই হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে তখন থেকেই নিখোঁজ বিমানের স্বজনরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। তাদের ধারণা যদি সত্যিই বিমানটি ছিনতাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের স্বজনদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাদের জিম্মি করে রাখলেও তারা যদি বেঁচে থাকেন তাহলে আবারও ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন আশায় প্রহর গুণছেন নিকট আত্মীয় স্বজনরা।
৭ মার্চ রাতে বিমানটি মালয়েশীয়া থেকে ছেড়ে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিমানটি কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই ধারণা করেন, কোন যাত্রীই আর বেঁচে নেই। কিন্তু সেই ধারণা ক্রমেই ক্ষীণ হতে থাকে। কারণ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম যেসব তথ্য দিতে থাকে তাতে দেখা যায়, নিখোঁজ বিমানটি ছিনতাই করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এর কোনো অকাট্য প্রমাণাদি এখনও কারও হাতে নেই। তারপরও ওই বিমানের প্রায় ১৪টি দেশের নাগরিক ছিল। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আত্মীয় স্বজনরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন। তবে আর যাইহোক স্বজনরা ছিনতাই ঘটনা শোনার পর কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। তারা মনে করছেন, নিশ্চয়ই আবার ফিরে পাবেন হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের!
স্বজনদের আশা কতখানি পূরণ হবে তা কেও বলতে পারে না। তবে আশায় বুক বেঁধে কেও যদি ক্ষণিকের জন্য হলেও শান্তি পান তাতে দোষের কিছু নেই। স্বজনরা আবার তাদের স্বজনদের ফিরে পাক এমন প্রত্যাশা সকলের।