দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে জন্মের ২৩ মিনিট পর Beatrix Lilian Rose Richards নামের শিশুটি নিঃশ্বাস নিতে পারলো। তার মাঝে যে প্রাণের অস্তিত্ব আছে সেটাই প্রমানিত হলো। চলুন জানা যাক বিস্তারিত।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হার্লোর Princess Alexandra Hospital এ লিলিয়ান রিচার্ডস নামের নবজাতকটি জন্ম নেয়। কিন্তু জন্মের পরেও ২৩ মিনিট অতিবাহিত হবার পর তার মাঝে প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমনকি জন্মের পর পর যে কোনো নবজাতক কান্নার মাধ্যমে পৃথিবীতে যে তার আগমনী বার্তা জানায় সে ব্যাপারটিও ছিলো লিলিয়ানের মাঝে অনুপস্থিত। জানা যায় ১৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম লিলিয়ানের হৃদস্পন্দের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলেও একজন কন্সাল্ট্যান্ট অবশেষে এ ব্যাপারে দক্ষতার প্রমান দেন।
হাসপাতালটির ধাত্রী নবজাতকটিকে কোলে নেন এবং তার অভিজ্ঞতায় শিশুটির শরীরে লাগানো মেডিক্যাল বিভাগের প্যানিক বাটন চাপতে থাকেন। তার আশা ছিলো এ পদ্ধতিটি শেষ পর্যন্ত কাজ করবে। ১৫ মিনিট শিশুটিকে নিয়ে কাজ করার পর তারা সফলতার কাছাকাছি আসেন এবং মনে করেন এটা তাদের প্রফেশনাল জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া, একজনকে জীবন দানে সাহায্য করতে পারা। কিন্তু একজন কন্সাল্ট্যান্ট শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে নবজাতকটির পাশে ছিলেন। তিনি সে সময়ে তার নিজের সন্তানের কথা চিন্তা করছিলেন এবং ভাবছিলেন একবার শেষ চেষ্টা করে দেখবেন লিলিয়ানের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার চেষ্টা সফল হলে তিনি বলে ওঠেন, সত্যি ব্যাপারটা মিরাক্যল ছাড়া কিছুই না এবং উপরওয়ালার আশীর্বাদ।
জন্মের সময় লিলিয়ানের ওজন ছিলো ৬ পাউন্ড কিন্তু সে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো বলে তাকে শিশু বিশেষজ্ঞ Dr Vikas Satwik এর পরামর্শে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিলো। কেননা এই অবস্থায় মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে পরবর্তীতে সন্তানটি সুস্থভাবে নাও বেড়ে উঠতে পারে।
তবে নবজাতকটির বাবা Lloyd (৩৯) এবং মা Charlotte Richards (২৪) এর প্রতিক্রিয়ায় জানা যায় সব খারাপ অবস্থার শেষে তাদের সন্তান সুস্থ আছে এটাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির খবর যদিও লিলিয়ানের জন্মের পর তারা টের পেয়েছিলেন কোথাও একটা সমস্যা আছে। কিন্তু সে সমস্যা কাটিয়ে ওঠায় লিলিয়ানের বাবা এখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। ইতিমধ্যে তারা তাদের সন্তানের MRI স্ক্যানও সম্পন্ন করেছেন যাতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হলে আগেই তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সে লিলিয়ানকে তাদের Bishops Stortford বাড়িতে আনা হয়। এই দম্পতির অবশ্য তিন বছর বয়সী আরো একজন কন্যা সন্তান আছে। লিলিয়ানের মা চারলট বলেন, তাদের পরিবারের নারীরা এমনিতেও শক্ত সবল। কেননা চারলটের মা ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে এখন বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাই তার নবজাতকের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সাফল্যে আনন্দের পাশাপাশি নবজাতক এবং তার মায়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।
তথ্যসূত্র : Mirror News