দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিডিয়ার মাধ্যমে মহিলা শিক্ষক আবশ্যক এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে টিউশনির কথা বলে চট্রগ্রামে চলছে ভিন্ন রকম প্রতারণা। টিউশনি দেয়ার কথা বলে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাদের ছবি তুলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরী থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ফয়েজ আলী (৩২) নামের এক জনকে মেয়েদের সাথে টিউশনি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে তাদের ছবি তুলে হয়রানীর করার অভিযোগে চট্রগ্রাম পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন ছাত্রী হোস্টেলের গেইটে মহিলা শিক্ষিকা আবশ্যক এমন বিজ্ঞাপন দেয়াই তার কাজ। পরবর্তীতে ওইসব হোস্টেলে থাকা ছাত্রীরা বিজ্ঞাপনের নাম্বারে ফোন করলে ফয়েজ আলী তাদের টিউশনি দেয়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট টাকা তাকে দিতে হবে এমন প্রস্তাব দিতো।
ফয়েজের প্রস্তাবে আগ্রহী ছাত্রীদের সে নির্দিষ্ট তারিখে টিউশনিতে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ডাকতো। তবে ফয়েজ আলী ভিক্টিমদের টিউশনিতে নেয়ার বদলে আগে থেকে ঠিক করে রাখা কোন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক তাদের ছবি তুলতো এবং ওইসব ছবি প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের পরিবারকে ফোন দিতো। এভাবেই ফয়েজ আলী প্রতারণার ফাঁদ পেতে অনেক মেয়েকে হয়রানী করে আসছিলো। এ ধরণের কয়েকটি ঘটনার পর সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী নগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে ধরতে অভিযান চালানো হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আক্তার বলেন, “নগরীর বিভিন্ন মহিলা হোস্টেলের সামনে লেডি টিউটর নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে সে পোস্টার লাগাত। ওই পোস্টারের নম্বরে যোগাযোগ করলে ফয়েজের প্রতারণা শুরু হত।”
ফয়েজের বিভিন্ন তথ্য ঘেটে দেখা গেছে, সে বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন পরিচয় প্রদান করতো। সে নিজেকে কখনো লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনো চিকিৎসক পরিচয় দিত। এছাড়াও তার ফেসবুক আইডিতে সে লিখেছে সে পুলিশের এএসপি, ৩০ তম ব্যাচ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফয়েজ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সে পুলিশ পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন হোটেলে ফ্রি থাকতো, এবং বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতো।