দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধারণা করা হয় আজ থেকে প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে কাকতালীয়ভাবে একটি বড় আকারের গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করার ফলে পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের অস্তিত্ব বিনাশ হয়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হচ্ছে এই ধারণাটি সঠিক নয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল গ্রহাণুপুঞ্জ কিন্তু তার ফলে ডাইনোসররা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। বরং গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাতে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছিল ‘নিউক্লিয়ার উইন্টার’ যার কারণে বিলুপ্ত হয় ডাইনোসর। একটি চরম গতিশীল গ্রহাণু যখন পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে তখন এর আঘাতে পৃথিবীপৃষ্ঠের চারপাশে মেঘের ঘন একটি স্তর সৃষ্টি হয় ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠে সূর্যের আলো পৌঁছতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে পৃথিবীর পরিবেশ হয়ে পড়ে কুয়াশাছন্ন যার ফলশ্রুতিতে হারিয়ে যায় ডাইনোসর।
ডাইনোসর বিলুপ্তির পেছনে এই ঘটনার সবচেয়ে বড় দিক হলো সূর্যহীন এই শীতকালটির ব্যাপ্তি ছিল প্রায় তিন দশক। এর ফলে শুধুমাত্র যে ডাইনোসর বিলুপ্তি হয়েছে তা নয়। এই শীতকালের ফলে হারিয়েছে সকল সবুজ বৃক্ষরাজি। এর ফলে সমুদ্রের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ভূপৃষ্ঠের সকল বৃক্ষ হারিয়ে যায় পৃথিবী হয়ে পড়ে প্রাণশুন্য। কুয়াশার এই প্রভাবে তৈরি ঠাণ্ডায় ধীরে ধীরে হারিতে যায় ডাইনোসর।
বিজ্ঞানীরা নতুন এই গবেষণার দিক নির্দেশনা পেয়েছে টেক্সাসের ব্রেজোস নদীর পাওয়া জীবাশ্ম থেকে। সবচেয়ে বড় কথাটি হলো গ্রহাণুপুঞ্জের এই আঘাতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার মধ্যে রয়েছে দাবানল, ভূমিকম্প, এবং সাগরের সুনামি তীব্রমাত্রা ধারণ করতে থাকে। কুয়াশার ফলে সূর্যের আলোর ২০ শতাংশে নেমে আসে। এই আলো পৃথিবীর সবুজ পরিবেশের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
তথ্যসূত্রঃদি টেক জার্নাল