দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল ফোনের বাজারে এক সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নাম নোকিয়া। সেই নোকিয়া ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছিল, তাও একেবারে ফিল্মি কায়দায়!
একসময় মোবাইল ফোনের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য করে বেড়ানো প্রতিষ্ঠান নোকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোন এর এনক্রিপশন কোড বেহাত হয়ে গিয়েছিলো। ওই ঘটনায় শুধু কয়েক মিলিয়ন ইউরোই গচ্চা যায়নি ফিনল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির, হলিউডি মুভির মতো অপরাধীদের টিকির সন্ধানটাও হারিয়ে ফেলেছিল স্থানীয় পুলিশ।
সম্প্রতি বিষয়টি ফাস হয়ে গেছে, ঘটনা ২০০৭—০৮ সালের। তৎকালীন বাজারে প্রচলিত মোবাইল ফোনের ৫০ শতাংশেরও বেশি ছিল নোকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোন। আর বেহাত হয়ে গিয়েছিল সেই ওএস-এর সোর্স কোডের এনক্রিপশান কি। মুক্তিপন না দিলে এনক্রিপশন কি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল অপরাধীরা। ফাঁস হলে প্রযুক্তি বাজারে বড় বিপর্যয়ে পরতে পারত নোকিয়া। সোর্স কোডের অংশ হওয়ায়, সেটি ব্যবহার করে তৈরি ম্যালওয়্যারগুলো চিহ্নিত করাও সম্ভব হতো না নোকিয়ার পক্ষে। ফলে ওই সময়েই বাজার হারাতে হত নোকিয়াকে নিজেদের জনপ্রিয় সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোন বিক্রির ক্ষেত্রে।
কি আর করার! বিপর্যয় এড়াতে মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়েছিল নোকিয়া, তবে নোকিয়া বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলো। ব্ল্যাক মেইলার নোকিয়াকে বলে, ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেরে শহরের এক পার্কিং লটে রেখে আসতে হবে মুক্তিপণের অর্থ। সেই মর্মে রেখে আসা হয়েছিল মুক্তিপণের অর্থ, আর হলিউডি মুভির মতোই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুক্তিপণ নিয়ে উধাও হয়েছিল অপরাধীরা। ছয় বছর পর এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ফিনল্যান্ডের পুলিশ বিভাগ।
সূত্রঃ IJSMBLOG