দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশু-পাখিপ্রেমীদের জন্য সুখবর। খুব কম সময়ের মধ্যেই তারা ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়ে সাদা বাঘ, লাল ক্যাঙারু ও দুই কুঁজওয়ালা উটসহ ১২ বিরল প্রজাতির ২৭টি পশু-পাখি দেখার সুযোগ পাবেন। এ জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুই কোটি টাকার পশু-পাখি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। খবর অনলাইন পত্রিকার।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এবিএম শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, আইভরি কোস্ট, মেক্সিকো এবং ব্রাজিল থেকে পশু-পাখিগুলো কেনা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি এ দরপত্র খোলা হবে। মে মাসে এসব পশু-পাখি এসে পৌঁছাবে।
বিশেষ বিমানে আনা হবে এসব পশু-পাখি। এগুলোর বয়স হবে খুব কম। এতে দর্শকরা বেশি দিন পশু-পাখিগুলো দেখার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে প্রজননের সুযোগ থাকায় নতুন পশু-পাখির সংখ্যাও বাড়বে। এর ফলে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে। বাংলাদেশ থেকে এসব পশু-পাখি কেনার আগ্রহ দেখাবে বিভিন্ন দেশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন পশু-পাখি কেনার জন্য দুই কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডোরাকাটা সাদা বাঘ, দুটি কালো বাঘ, দুটি বাদামি রঙের ভালুক, দুটি লাল ক্যাঙারু,মাথায় মুকুটওয়ালা। দুটি কালো বানর এবং দুটি দুই গুজওয়ালা উট রয়েছে। বর্তমানে এসব প্রাণী ঢাকা চিড়িয়াখানায় নেই।
চিড়িয়াখানায় পুরুষ প্রজাতির একটি সাম্বার হরিণ থাকলেও আরও দুটি কেনা হবে। এর মধ্যে একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী প্রজাতির। বেশ কয়েক বছর ধরে চিড়িয়াখানায় নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে পুরুষ প্রজাতির একটি শিম্পাঞ্জি। প্রাণীটি স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে এসেছে। এই প্রাণীর নিঃসঙ্গতা কাটাতে দুটি শিম্পাঞ্জি কেনা হবে।
পাখি কেনা হবে সাতটি। এর মধ্যে তিনটি গ্রে পেলিক্যান রয়েছে। চিড়িয়াখানায় এই পাখি নেই। দুটি পুরুষ প্রজাতির এবং একটি স্ত্রী প্রজাতির ইমু পাখি থাকলেও আরও তিনটি কেনা হবে। কেশোয়ারি পাখি কেনা হবে তিনটি। চিড়িয়াখানায় পুরুষ প্রজাতির একটি কেশোয়ারি রয়েছে। রিয়া পাখি কেনা হবে দুটি। চিড়িয়াখানায় রিয়া পাখি নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে চিড়িয়াখানায় অতিথি হয়ে আসে সাদা সিংহ, গন্ডার এবং স্পটেড হায়েনাসহ বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির পশু-পাখি।