দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকে যুবকরা সব সময় ঢুকে থাকে। ফেসবুকের কারণে পড়া-লেখায় ক্ষতি হয় ইত্যাদি ধ্যান ধারণা যারা প্রসন করেন তাদের এক হাত দেখানোর একটা মোক্ষম সুযোগ এসেছে। আর সেটি হলো ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি খোদ রাজধানী ঢাকার।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, আরব আলী নামে জনৈক ব্যক্তি গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাড়ি নিয়ে এক কাজে সচিবালয়ে যান। ওই গাড়িটির নম্বর- ঢাকা মেট্রো গ-১৭-৫৩৬৯। তিনি সেখানে পৌঁছে গাড়িচালক বেলালকে সচিবালয়ের যাত্রী ছাউনির সামনে গাড়িটি পার্ক করতে বলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
কতক্ষণ পর করিম নামে জনৈক ব্যক্তি সাভারে হেমায়েতপুর যাওয়ার জন্য গাড়িচালক বেলালকে এক প্রস্তাব দেন। ওই ব্যক্তি বেলালকে মোটা টাকার লোভ দেখায়। ৩ হাজার টাকা ভাড়ার কথা শুনে বেলালও রাজিও হয়ে যায়। পথিমধ্যে উক্ত করিম তার অপর এক সহযোগীকে গাড়িতে ওঠান। হেমায়েতপুর যাওয়ার পর তারা চালককে কৌশলে খাবারের সঙ্গে চেতনাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪।
বিষয়টি উল্লেখ করে গাড়ির মালিক আরব আলী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গাড়ি চুরি হয়েছে ভেবে আরব আলীর ছেলে ফয়সাল মন খারাপ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বাবার গাড়িটি চুরি হওয়ার পর তিনি ফেসবুকে Desperately Seeking– Dhaka (DSD) Mªy‡c GKwU Status Post K‡ib| Need help my car has been stolen today. Model-2002.Rg-Dhaka Metro -Ga-17-5369. Chesis no-NZT240-0034004, Engine no- INZ-A592990. If aû information pls Contact 0167……
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুকের ফয়সালের এ পোস্ট দেখে গোয়েন্দা এবং অপরাধ তথ্য বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ফেসবুকে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করেন। তিনি আরব আলী এবং তার ড্রাইভারকে গাড়ি চুরি ও ছিনতাই, উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের অ্যালবামে সংরক্ষিত গাড়ি চোর এবং ছিনতাইকারীদের ছবি দেখান। অ্যলবামের ছবি দেখে ড্রাইভার বেলাল এক জনকে শনাক্ত করেন- তার নাম বেলাল। এরপর গোয়েন্দা দল দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হোটেল নর্দান প্যালেসের সামনে হতে ওই গাড়িটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি চোর ফারুক এবং তার অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ফেসবুকে যুবকরা হয়তো জীবনের মূল্যবান অনেক সময় নষ্ট করেন। কিন্তু মাঝে-মধ্যে সমাজের জন্য কিছু ভালো উদাহরণও সৃষ্টি হয় এই ফেসবুকের মাধ্যমে। যেমন বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ফেসবুকের মাধ্যমে যুবকরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে ত্রাণ সাহায্য নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান- যা আমরা ইতিপূর্বেও দেখেছি।