দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগের পর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিটিআরসি।
জানা যায়, মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা আত্মসাতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। ৪ বছর আগের আত্মসাৎ করা টাকা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। কিন্তু সে টাকা ফেরত দেয়নি বাংলা লিংক। অবশেষে কমিশনের ১৭০তম মিটিংয়ে এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বিটিআরসি। এ জন্য পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে বলছে, অনুমতি ছাড়াই বাংলালিংক ৪টি সার্ভিস চালু করে। বিষয়টি শুনানির জন্য বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং উইংয়ের পরিচালক একেএম শহিদুজ্জামানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি বিটিআরসির কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০১১ সালে বাংলালিংক কমিশনের অনুমতি ছাড়া এলাকাভিত্তিক ট্যারিফের অফার করার পর হোম জোন সার্ভিস চালু করে। কিন্তু জোনভিত্তিক ওই অফারে গ্রাহকরা প্রকৃতঅর্থে নির্ধারিত ট্যারিফে কোনো কথা বলতে পারেনি।
বিটিআরসি বলছে যে, এলাকাভিত্তিক ট্যারিফের অফার কমিশনের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কমিশনের ইন্টেরিম ডিরেক্টিভস ২নং ক্লস-এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ইন্টেরিম ডিরেক্টিভস ২নং ক্লসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, Uniform tariff in a package : If a promotion package is offered, the tariff must be same for all subscribers under the same package. Tariff variation in different geographic location is not allowed under a same package.
আবার আরেকটি অফারে ৭০ মিনিট টকটাইম মাত্র ৭ টাকায় দেওয়ার কথা বলা হয়। এ ব্যাপারে ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল কমিশন হতে চিঠি দেওয়ার পরও বাংলালিংক তা বন্ধ করেনি। ওই অননুমোদিত সার্ভিস হতে আয়ের পরিমাণও জানায়নি বাংলালিংক। উপরন্তু তারা দাবি করেছে, এধরনের কোনো সার্ভিস দেওয়া হয়নি।
বিটিআরসি সূত্র বলেছে, বাংলালিংক বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া ২০১১ সালের ৭ জুলাই ডেইলি ফ্ল্যাট ট্যারিফ নামেরও অপর একটি সার্ভিস চালু করে। এ সার্ভিস দেওয়ার নামে প্রতিদিন গ্রাহকদের নিকট হতে রেজিস্ট্রেশন ফি’র নামে ৪ টাকা করে নেয়া হয়। অবৈধ এবং অনুমতি ছাড়া এই সার্ভিস চালু করায় বিটিআরসি বাংলালিংকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ওই সার্ভিস হতে আয়ের অর্থ ৯২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৪ টাকা কমিশনে জমা দিতে বলা হলেও, বাংলালিংক তা করেনি। আরও বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বাংলা লিংকের বিরুদ্ধে।