দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে কাঙ্খিত রায় পেয়েছে এদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসি দিয়েছে। এই রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এর তৃতীয় রায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, বৃহস্পতিবার সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। বেলা ১১টা ১৯ মিনিট থেকে শুরু করে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রায় পড়া শেষ হয়। ১২০ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন বিচারক প্যানেলের সদস্য আনোয়ারুল হক। পরবর্তী অংশ পাঠ করেন বিচারক প্যানেলের অন্য সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গঠনের পর প্রায় ৩ বছরের কাছাকাছি সময়ে এসে তৃতীয় কোনো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হলো। তবে সাঈদীর মামলার মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো মামলার রায় দিলেন প্রথম ট্রাইব্যুনাল। সাঈদীর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ এর ১ নম্বর মামলা।
অন্য দুই মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে গত বছরের ২২ মার্চ গঠিত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে ২১ জানুয়ারি ফাঁসির আদেশ দিয়ে জামায়াতের সাবেক রোকন (সদস্য) আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ওই ট্রাইব্যুনাল। একই ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
বিচারপতিরা শপথ ভঙ্গ করেছেন : সাঈদী
বাংলাদেশ নিউজ২৪ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেছেন, বিচারপতিরা শপথ ভঙ্গ করেছেন। নাস্তিক ও শাহবাগে আন্দোলনকারীদের খুশি করতে এ রায় দেয়া হয়েছে। আমি এ রায় মানি না।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় যখন একে একে অভিযোগুলো প্রমানিত হচ্ছিল, তখন তিনি এজলাসে নিশ্চুপ ছিলেন । তার চোখে মুখে খানিকটা চিন্তার ছাপ দেখা গেলেও তিনি ছিলেন অনেকটাই স্বাভাবিক।
এজলাসে নিশ্চুপ বসে থাকা সাঈদীর হাতে কোরআন শরীফ দেখা যায়। তার গায়ে সাদা জোব্বার সঙ্গে খয়েরি রঙের কটি জড়ানো ছিল। পায়ে ছিল কালো চামড়ার জুতো। তার ডান হাতে কালো রঙের ঘড়ি দেখা যায়।