দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ে করলেই মিলবে হাজার কোটি টাকা- এমন কথা শুনে অবিবাহিত যুবকরা হয়তো উদগ্রীব হয়ে পড়বেন। কেনো বিয়ে করার জন্য? না, খবরটি ভালো মতো পড়ার জন্য।
আমাদের কার না কোটিপতি হতে ইচ্ছা করে বলুন? তারপর যদি সেটি হয় রাতারাতি তাহলে তো কথায় থাকে না! তাও সেটি যদি হয় বিয়ে করে! বিয়ে করেই যদি হওয়া যায় কোটিপতি তাহলে তো কোনো কথাই নাই। এমনই একটি চমকে দেওয়ার মতো খবর হলো যে এক ধনকুবের পিতার মেয়েকে বিয়ে করলেই হওয়া যাবে শত কোটি টাকার মালিক!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে যে, এমনই এক প্রস্তাব দিয়েছিলেন হংকংয়ের ধনকুবের সিসিল চাও সে সুং মেয়ের জন্য। ছেলে দরিদ্র বা বেকার হলেও আপত্তি ছিল না সিসিলির। তবে একটাই শর্ত- তার মেয়েকে খুব ভালবাসতে হবে।
খুব সহজে কোটিপতি হবার সুযোগটা এসেছিল তিন বছর আগে ২০১২ সালে। সিসিল তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ৬৫ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে তখন ২০ হাজার প্রার্থী সাড়াও দেন। কথা ছিল প্রার্থীরা তাদের নিজ গুণে কেবল তার মেয়েকে বিয়েতে রাজি করাবে। কিন্তু সিসিল পছন্দের প্রার্থী তাদের মধ্যে খুঁজে পাননি। এরপর অর্থের অঙ্ক আরও বাড়তে থাকে। গত বছরের জানুয়ারিতে তা দাঁড়ায় ১৩০ মিলিয়ন ডলারে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক হাজার কোটি। সুখবর হলো এই যে, পাত্র যদি গরিব অথবা অন্য কোনো দেশের নাগরিকও হয়, তাতেও কোনো আপত্তি নেই মহানুভব ওই পিতার।
সিএনএন এমন একটি খবর দিয়েছে যা হলো, আগে সিসিলের মেয়ে গিগি প্যারিসে উৎসব করে একজনকে নাকি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ওই বিয়েটা মেনে নিতে পারেননি তার বাবা সিসিল। কারণ গিগির ‘বরও’ ছিল একজন নারী। অর্থাৎ গিগি হচ্ছেন সমকামী। ৯ বছর আগে ফ্রান্সে সে এক নারীকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করেছিল। তাই তার বাবা সিসিল মনে করেন তার মেয়ে এখনও অবিবাহিত এবং কুমারী। তিনি চান গিগি কোন পুরুষকে বিয়ে করে সংসারী হোক। ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার আসুক তার মেয়ের ঘরে। নিজের একটু নানা ডাক শোনার শখ তো আছেই।
তবে গত জানুয়ারিতে দেওয়া হাজার কোটির প্রস্তাবের পর এক বছর পেরিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত গিগির জন্য তার বাবা কোনো বর খুঁজে পেয়েছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে উপযুক্ত পাত্রদের উচিত এগিয়ে যাওয়া!! তথ্যসূত্র: http://says.com