দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিক্ষা কাল-অকাল মানে না- সেটিই আমরা দেখে আসছি। এবারও এমন এক কাহিনী। তবে একটু ব্যতিক্রমি ঘটনা হলো বরযাত্রীকে দাঁড় করিয়ে কনে বিএ পরীক্ষা দিলেন।
শিক্ষা যেমন কারও বয়স মানে না। আবার আমাদের অনেক সময় যা ঘটে তা হলো বিয়ের জন্য পরীক্ষা না দেওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে। বিশেষ করে মেয়েরা এমন ঘটনার শিকার হন বেশি। তবে সব পুরোনো ঘটনাকে পেছনে ফেলে নতুন এক ঘটনার জন্ম দিলেন ভারতের এক তরুণী। তবে বিয়েও করেছেন আবার পরীক্ষাও দিয়েছেন। ওই তরুণী পরীক্ষার জন্য বরযাত্রীকেই শেষ পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন!
আর সে কারণে তার শ্বশুরবাড়ি যেতে ঘণ্টা তিনেক দেরি হয়। এমন একটি অসম্ভব কাণ্ড করেছেন ভারতের রাজস্থানের তরুণী সন্তোষ প্রজাপত। কনের সাজে সেজেই তিনি বিএ পরীক্ষায় বসলেন। পরীক্ষা শেষ করে তবেই সন্তোষ শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। আর এ সময় বরযাত্রীদের তিনি পরীক্ষার হলের কাছাকাছি স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
ভারতের রাজস্থানের বালেসার প্রদেশের মেয়ে সন্তোষ। বিয়ের পরদিনই ছিল তার বিএ পরীক্ষা। তিনি আগে থেকেই বাবা-মা ও শ্বশুর বাড়ির সবাইকে বলে রেখেছিলেন- কোনমতেই পণ্ড হতে দেবেন না সারা বছরের পরিশ্রম। বিয়েও করবেন আবার পরীক্ষাও তিনি দেবেন। বহু বোঝানোর পরে রাজি হলেন তার বাবা-মা। এরপর বহু কষ্টে রাজি করানো গেলো তার হবু স্বামী ওমারাম এবং তাঁর বাড়ির লোকজনকেও।
এর পরের ঘটনা একই। যথাসময়ে বিয়ে হলো। পরদিন বর ও বরাতি দাঁড়িয়ে থাকলো পরীক্ষার হলের কাছে। আর কনের সাজেই সালঙ্কারা সন্তোষ গেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। তিন ঘণ্টা ধরে বিএ ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষা দিলেন সালঙ্কারা সন্তোষ। তারপর ফিরে এসে চললেন নতুন জীবনের দিকে- অর্থাৎ শ্বশুরালয়ে। এ সময় ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় অত্র এলাকার অনেক লোকজনও জড়ো হয়। এমন নারীকে এক নজর দেখা দরকার না?