দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন থেকে আর কেমো’র প্রয়োজন হবে না। এখন ক্যান্সার রুখবে ‘সুখি’ হরমোন! এমন যুগান্তকারী আবিষ্কার কোললকাতার একদল বিজ্ঞানীর।
দূরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী এই সাফল্য বিশ্ববাসীকে আশান্বিত করে তুলেছে। যে কারণে অদূর ভবিষ্যতে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আর কেমো থেরাপির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হবে না।
কোলকাতার বিজ্ঞানী পার্থ দাশগুপ্ত ও সুজিত বসু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ক্যান্সারের টিউমার বিনাশ করতে অসাধারণ কাজ করে এই হ্যাপি (সুখি) হরমোন। এই হরমোনের ক্ষরণই মানুষকে সুখি করে। তাই এটির নাম দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পরিভাষায় হরমোনটির প্রকৃত নাম ডোপেমাইন। তবে এটি হ্যাপি হরমোন নামেই বেশি পরিচিত। এই হরমোনটি মানুষকে শুধু সুখিই করে না, ক্যান্সারও সারিয়ে তোলে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এটি ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে সাফল্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, হ্যাপি হরমোন প্রয়োগে ক্যান্সারের টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবার সুখি হরমোন মানুষের উপর প্রয়োগ করা হবে। যদি সত্যিই সাফল্য আসে, তাহলে কেমো থেরাপির মতো ব্যায়বহুল চিকিৎসার আর দরকার হবে না। যেখানে কেমো থেরাপিতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়, সেখানে মাত্র ২৫ টাকাতেই ডোপামাইনের (সুখি হরমোন) ভায়াল বা বোতল পাওয়া যায়।
কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এমিরেটাস প্রফেসর পার্থ দাশগুপ্ত ও ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি-র ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টারের অধ্যাপক সুজিত বসু। এঁরা দু’জনেই বলেন, বিভিন্ন হরমোনের উপর কয়েকটি পরীক্ষা চালাতে গিয়েই আকস্মিকভাবে ডোপেমাইনের ক্যান্সারের কোষ বিনাশ করার ক্ষমতাটি আবিষ্কার করে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
পার্থ দাশগুপ্তর ভাষায়, ‘ক্যান্সারের টিউমার দ্রুত বাড়তে থাকে। আমরা দেখলাম, যদি ব্লাড ভেসেলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে টিউমারের বৃদ্ধি থেমে যায়। ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, ডোপেমাইন হরমোন ক্যান্সারের টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতে বিশেষভাবে কাজ করছে।’ পুরোপুরি সাফল্য আনতে এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা ও গবেষণা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।