দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের বহুল আলোচিত ‘মুহাম্মদ (সা.)’ নিষিদ্ধের দাবি করলো এবার সৌদি আরব। রাসুলের (সা.) যে চরিত্র চিত্রিত হয়েছে তা সঠিকভাবে তুলে না ধরে বরং উপহাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শায়েখ আব্দুল আজিজ আল-আসিক।
![‘মুহাম্মদ (সা.)’ নিষিদ্ধের দাবি করলো এবার সৌদি আরব [ট্রেলার] 1 Muhammad S](https://thedhakatimes.com/wp-content/uploads/2015/09/Muhammad-S-600x321.jpg)
ইরানের তৈরি বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘মুহাম্মদ (সা.) ম্যাসেঞ্জার অব গড’ চলচ্চিত্রে রাসুলের (সা:) যে চরিত্র চিত্রিত হয়েছে তা সঠিকভাবে তুলে না ধরে বরং উপহাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শায়েখ আব্দুল আজিজ আল-আসিক। ছবিটি নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসলামে রাসুল (সা.) যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ইরানের তৈরি এই চলচ্চিত্রটিতে তার সঠিক আদর্শ উপস্থাপন করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। মুফতি শায়েখ আব্দুল আজিজ আল-আসিক অভিযোগ করেছেন, চলচ্চিত্রটিতে যেভাবে রাসুল (সা.)কে উপস্থাপন করা হয়েছে সেভাবে ইসলাম প্রচার হয়নি।

‘মুহাম্মদ (সা.)’ চলচ্চিত্রটি ইরানের ১৪০টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি।
ছবিটির পরিচালক মাজিদ মাজিদি বলেন, ‘১৭১ মিনিটের এই প্রযোজনাটিতে ইসলামের ঐক্যকে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাসুলের (সা.) আমলের তিন বিয়োগাত্মক কাহিনী উপস্থাপন করে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি উপস্থাপিত হয়েছে।’ বরং চরমপন্থীদের বিকৃত করা হয়েছে বলে মনে করেন পরিচালক মাজিদ মাজিদি।
ইরানের প্রখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি
কেনো এই ছবি?
ছবির পরিচালক মাজিদ মাজিদি। মহানবিকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণ জানাতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘কিছু লোকের কারণে ইসলাম ধর্মে এক ধরণের উগ্রতা, হিংস্রতা, সন্ত্রাসের ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু ইসলাম আসলে এমন নয়। ইসলামের নাম ব্যবহার করে যেসব জঙ্গি সংগঠন নৃশংসতা-বর্বরতা করছে, ইসলামের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ আমি চেয়েছি ইসলাম যে শান্তি, বন্ধুত্ব, ভালোবাসার ধর্ম সেটা তুলে ধরতে।’
অপরদিকে বিশ্বখ্যাত আল-আযহার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তাবিদরা এই চলচ্চিত্রটির জন্য নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইরানের সরকারকে ‘মুহাম্মদ (সা.) ম্যাসেঞ্জার অব গড’ ছবিটি নিষিদ্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগের ডিন আব্দুল ফাতাহ আল-আওয়ারি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘পরিচালক শরীয়াহ বোর্ডের বিধান লঙ্ঘন করে রাসুল (সা.)কে শারীরিকভাবে উপস্থাপন করেছেন- যা ইসলামের পরিপন্থী। অপরদিকে ছবিটিতে রাসুলকে (সা:) বাস্তবে শারীরিকভাবে দেখানোর জন্য নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব মুসলিম লীগ। বিশ্ব মুসলিম লীগের মহাসচিব আব্দুল বিন আব্দুল মহসেন আল-তুর্কি বলেছেন, ‘তেহরানকে অবশ্যই এই চলচ্চিত্রটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। রাসুলের শারীরিক রুপ দিয়ে উপস্থাপন করা ইসলাম পরিপন্থী বলে তিনি জানান। বিশ্ব মুসলিম লীগের মহাসচিবও মুসলমানদের এই ছবি বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘মুহাম্মদ (সা.) ম্যাসেঞ্জার অব গড’ কানাডার মন্ট্রিল ফিল্ম ফেস্টিভালে ইতিমধ্যেই উপস্থাপন করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ব্যয়বহুল এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের তৃতীয় দিন ৩০ আগস্ট শুধুমাত্র তেহরানেই ১১ কোটি তুমান আয় করেছে।
ছবিটির ট্রেলার দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=2B98FBP6Vck