দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক ভাসমান জিনিস দেখেছি। তবে আজ আপনাদের জন্য রয়েছে এক বিস্ময়কর ভাসমান স্বর্গ কাহিনী। যা সত্যিই হতবাক করার মতো।
অর্থ-প্রতিপত্তি মানুষকে অনেক কিছু ভাবায়। আর তাই বিত্তশালীরা এই দুনিয়াতে সুখে ও স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে যা প্রয়োজন তাই করেন। তখন তারা চিত্তসুখের জন্য নানা বিলাসবহুল জিনিস নিত্য উদ্ভাবন করার চেষ্টা করেন। এবার এবার বিত্তশালীদের জন্য যোগ হতে যাচ্ছে ভাসমান ব্যক্তিগত দ্বীপ। যেদ্বীপ নিজেই চলতে পারবে এবং বিশ্বের যে কোনও সমুদ্রের যেখানেই মন চায় সেখানেই এটিকে নিয়ে চলে যাওয়া যাবে। এই ভাসমান দ্বীপে থাকবে একটি পেন্টহাউজ, যেখানে বসে আপনি অনায়াসে চারদিকের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ৮০ মিটার দীর্ঘ এলিভেটর দিয়ে এই পেন্টহাউজে ওঠা যাবে। থাকবে জঙ্গলে ঘেরা একটি ডেক। এতে থাকবে কৃত্রিম জলপ্রপাত। থাকবে আরও খোলামেলা খাবারের জায়গা। সেইসঙ্গে একটি হ্যালি প্যাডও।
জানা গেছে, ভাসমান দ্বীপের বাসিন্দারা আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পৃথিবীর কোনও প্রকৃত উষ্ণমণ্ডলীয় দ্বীপের অবকাশযাপন কেন্দ্রে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় এখানে তাই পাওয়া যাবে। যেমন, স্পা, জিম, বিউটি স্যালুন, বার ও একটি সুইমিং পুলও থাকবে এই ভাসমান দ্বীপটিতে।
এই ভাসমান দ্বীপটিতে একটি ঊর্ধ্বমুখি বাগান, পাম গাছ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফুলের পাশাপাশি সবুজের সমারোহ সাজানো থাকবে।
আবার যারা এর চেয়েও বেশি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটক তাদের জন্য দ্বীপটিতে থাকবে জেম্স বন্ড স্টাইলের একটি স্টেশন। যেখান থেকে হাঙ্গরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও থাকবে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ব্যক্তিগত ডুবো ইয়ট তৈরির প্রতিষ্ঠান মিগালোর নকশাবিদরা এই ভাসমান দ্বীপের পরিকল্পনা করেছেন। এটি খুব নিকট ভবিষ্যতেই তৈরি করা সম্ভব হবে বলে কোম্পানিটি জোর দিয়ে বলেছেন।