দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ মানুষের রক্ত পান করে এমন কথা বাস্তবে কখনও শোনা যায়নি। তবে এবার শোনা গেলো মানুষ মানুষের রক্ত পান করে!
রূপকথার গল্পের মতোই। কারণ রূপকথার গল্পে রয়েছে ভ্যাম্পায়ারের অস্তিত্ব। কিন্তু মানুষের রক্তপানকারী মানুষ বাস্তব জগতেও রয়েছে! অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলও এটিই সত্যি। যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরল্যান্সে রক্তখেকো সম্প্রদায় বসবাস করে। এই সম্প্রদায় নিয়মিতভাবে মানুষের রক্তপান করে।
বিবিসি ম্যাগাজিনে সম্প্রতি রক্তখেকো ওইসব লোকদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই সম্প্রদায়ের লোকদের মাঝে গিয়ে সরাসরি বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গবেষক জন এডগার ব্রাউনিং। খুব কাছ হতে দেখেছেন এদের জীবনধারা।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দাতাদের দেহ হতে চুষে রক্তপান করে থাকে এই রক্তখেকো মানুষগুলো। অনেকটা সিনেমায় দেখা ভ্যাম্পায়ারদের মতো। এমনকি চা ও অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও রক্ত পান করে ওইসব এলাকার অনেকেই।
অনেকটা কল্প-কাহিনীর ভ্যাম্পায়ারদের মতোই। শুধু রক্ত খাওয়া নয়, রক্তদাতাদের সঙ্গে দৈহিক মিলনও করে থাকে এইসব রক্তখেকোরা! এদের মধ্যে আবার অনেকে নিয়মিত পড়ালেখা ও চাকরিও করেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, একটি বিষয়ে বেশ সতর্ক অবলম্বন করে এরা। সেটি হলো- সন্তানদের পড়ালেখা এবং সেখানে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখে এরা। সন্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাবা-মায়ের প্রকৃত পরিচয় জেনে গেলে অনেকেই তাদের সঙ্গে মিশবে না কিংবা বাঁকা চোখে দেখবে- এমন আশঙ্কা হতেই মূলত পরিচয় গোপন রাখে অভিভাবকরা।
মানুষের রক্তপানের কারণে শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয় কি না- এমন প্রশ্নে অবাকই হন রক্তখেকোরা। সমস্যা তো নয়ই, বরংচ রক্তপানের কারণে নানা সমস্যা হতে মুক্তি পেয়ে থাকেন- এমন দাবি করেছেন।
রক্তখেকোদের দাবি হলো, রক্তপানের মাধ্যমে বিষণ্নতা, মাথাব্যথা এবং পাকস্থলীতে ব্যথার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে নাকি তারা মুক্তি পেয়ে থাকেন।
রোগের চিকিৎসায় রক্ত ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও এভাবে রক্তপান শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, এভাবে অন্যের রক্তপানের মাধ্যমে পানকারীর দেহে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি কিংবা সি এর মতো মরণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে চিকিৎসকরা কথাবার্তাকে তারা মোটেও পাত্তা দিচ্ছেন রক্তখেকোরা। তাদের দাবি হলো, এসব ফালতু কথা ছাড়া কিছু নয়। কাল্পনিক ভ্যাম্পায়ার বা ড্রাকুলা নিয়েও এদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অনেকেই আবার জানেনই না রক্তচোষা ড্রাকুলার কাহিনী!