দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়। জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির। ঠিক এমনই একটি খবর। আর তা হলো স্মার্টফোনের বদলে আসছে নতুন এক প্রযুক্তি!
বিশ্বময় প্রযুক্তির উৎকর্ষ মানব সভ্যতাকে নিয়ে যাচ্ছে এক উচ্চ শিখরে। মোবাইলের যুগে খুব কম সময়ে এসেছে স্মার্টফোনের যুগ। কিন্তু সেই যুগও বোধ হয় আর বেশিদিন থাকবে না। প্রযুক্তি বিশারদরা বলছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে স্মার্টফোনের জায়গা দখল করে নিতে আসছে নতুন প্রযুক্তি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি সুইডেনভিত্তিক যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন এক গবেষণায় দেখেছে, ২০২১ সাল নাগাদ নাকি মোবাইল প্রযুক্তির স্থান দখল করে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, এরিকসনের জরিপকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমার ল্যাব ভবিষ্যতের আকাঙ্খিত প্রযুক্তি নিয়ে সুইডেনসহ অন্তত ৪০টি দেশের ১ লাখ গ্রাহকের মধ্যে এই জরিপটি পরিচালনা করে। এই জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক ব্যক্তির মত হচ্ছে ২০২১ সাল নাগাদ স্মার্টফোন প্রযুক্তি পুরোনো হয়ে যাবে। তার পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন ফাংশন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়বে।
ওই কনজুমার ল্যাবের গবেষক রেবেকা সেডারিং বলেছেন, ‘গাড়ি চালানো বা রান্নার মতো কাজের সময় হাতে স্মার্টফোন থাকাটা সত্যিকার অর্থে একেবারেই কাজের কিছু নয়। এ ছাড়াও কখনও কখনও স্মার্টফোনের স্ক্রিণ খুব বেশি সুবিধাজনকও নয়। তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে স্মার্টফোন পুরোনো প্রযুক্তি হিসেবে গণ্য হবে।’
গবেষক রেবেকা সেডারিং পূর্বাভাসের উদ্বৃতি দিয়ে টেলিগ্রাফ বলেছে, ‘মানুষের অবসর সময় বাড়ানোর মতো প্রযুক্তিও এক সময় চলে আসবে। তখন একই সঙ্গে নানা ধরনের কাজ করাও সম্ভব হবে মানুষের পক্ষে।’ তাদের মতে, ক্রমেই ছড়িয়ে পড়বে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা। মানুষ ক্রমেই এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।