দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে একটি ট্রেনে কুঠার ও ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ওই আফগান কিশোর ইসলামিক স্টেট (আইএস) ‘যোদ্ধা’ ছিল বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
আইএস পরিচালিত আমাক নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘সাইট’ এই তথ্য দিয়ে বলেছে, ‘আইএসের বিরোধী জোটভুক্ত দেশগুলোকে টার্গেটের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়।’ এবারই প্রথম জার্মানিতে কোনো হামলার দায় স্বীকার করলো আইএস।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত সোমবার রাতে জার্মানির বাবারিয়ার বুজবুর্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে চার ব্যক্তি আহত হয়। অবশ্য ওই হামলাকারী কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। জানা গেছে, আহত চারজনই হংকংয়ের একটি পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাবারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াসিম হারমানের ভাষ্য মতে, হামলাকারী কিশোরের বয়স ১৭ বছরের মতো। এই আফগান শরণার্থী পাশের একটি শহরে বাস করতো। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, স্থানীয় সময় রাত সোয়া নয়টার দিকে ট্রেনে যাত্রীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ট্রেনটি বুজবুর্গে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে কুঠার এবং ছুরি নিয়ে এক কিশোর যাত্রীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারী ট্রেন থেকে নেমে পালায়। এ সময় পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী কিশোর নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জার্মানির গণমাধ্যম বলেছে, হামলার সময় ওই কিশোরকে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। শুধু তাই নয়, দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই কিশোরের বাহুতে আঁকা আইএসের পতাকাও ছিল।