দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে অ্যানড্রয়েড ফোনের ব্যবহারই বর্তমানে বেশি। তবে খবর বেরিয়েছে কয়েক কোটি ফোন যে কোনও মুহূর্তে হ্যাক হতে পারে কোয়াডরুটার সমস্যার কারণে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, স্মার্টফোন সিকিউরিটি গবেষকরা সম্প্রতি এমন দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের একটি আশু বিপদের দিকেই। এই অপারেটিং সিস্টেমের চারটি ইন-বিল্ট ত্রুটি রয়েছে যাকে একইসঙ্গে বলা হচ্ছে ‘কোয়াডরুটার’। প্রায় ৯০ কোটি স্মার্টফোন ‘কোয়াডরুটার’ ত্রুটিতে জর্জরিত রয়েছে। ঠিক ত্রুটি না বলে ‘দুর্বলতা’ কিংবা উইক পয়েন্ট বলাই ভালো। যে কোনো সময় এই দুর্বলতারই সুযোগ নিতে পারেন হ্যাকাররা!
‘চেক পয়েন্ট’ নামে এক অ্যানড্রয়েড ফোন সিকিউরিটি গবেষক সংস্থা বলেছে, যে সমস্ত অ্যানড্রয়েডে বিল্ট-ইন কোয়ালকম চিপসেট রয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই সংস্থাটির বক্তব্য হলো, এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৯০ কোটি অ্যানড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংস্থাটি মনে করছে, কোয়াডরুটারে যে চারটি দুর্বলতার কথা বলা হয়েছে, তার যে কোনও একটির মাধ্যমেই হ্যাকাররা ডিভাইসের ‘রুট অ্যাকসেস’ পেয়ে যাতে পারেন।
আর একবার রুট অ্যাকসেস পেয়ে গেলেই ফোনের যাবতীয় ছবি, ইমেল, মেসেজ— সবই চলে যাবে হ্যাকারদের কবজায়। জানা গেছে, কোয়াডরুটারের মাধ্যমে ফোন হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা নানা দুষ্ট অ্যাপের সাহায্যও নিতে পারে। এই ‘ম্যালিসিয়াস অ্যাপ’গুলির বৈশিষ্ট্য হলো ডাউনলোড করার সময় এরা কোনও রকম অনুমতি চায় না। সরাসরি ঢুকে পড়ে স্মার্টফোনের ভেতরে।
খবরে বলা হয়েছে, যে সমস্ত জনপ্রিয় অ্যানড্রয়েড ফোন এই কোয়াডরুটার সমস্যায় ভুগছে সেগুলো হলো:
ব্ল্যাকবেরি প্রিভ
গুগল নেক্সাস ৫এক্স
নেক্সাস ৬পি
এইচটিসি ১০
এলজি জি৫
মোটো এক্স
ওয়ানপ্লাস ৩
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭।
বিশ্বের সবচেয়ে সিকিওর অ্যানড্রয়েড ফোনের দাবিদার ব্ল্যাকফোন ১ ও ব্ল্যাকফোন ২ এই বিপদ হতে মুক্ত নয় বলে জানায় ‘চেক পয়েন্ট’।
এই প্রসঙ্গে কোয়ালকমের পক্ষ হতে জানানো হয় যে, তারা ইতিমধ্যেই এই ‘বাগ’-এর প্যাচ রোল আউট করা শুরু করেছেন। সংস্থার বক্তব্য হলো, হ্যাকিং হতে নিজেদের ফোন বাঁচাতে ইউজারদের লেটেস্ট অ্যানড্রয়েড আপডেট নিতে হবে। তাছাড়া যে কোনও অ্যাপ ইনস্টল রিকোয়েস্ট আসলে দেখতে হবে সেটি গ্রহণ করা ঠিক হবে কি না। অ্যানড্রয়েড অ্যাপের সাইডলোডিং এড়িয়ে চলার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে কোয়ালকম।
তাছাড়া অ্যাপ ইনস্টলের সময় পারমিশন রিকোয়েস্টটি খতিয়ে দেখাও জরুরি বলে মনে করে এই সংস্থাটি।